ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ নদীয়ার শান্তিপুরে বিষমদ কাণ্ডে ১২জনের মৃত্যুর ঘটনার পর গোটা রাজ্য জুড়েই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনিক কর্তারা। চলছে জেলায় জেলায় চোলাই বিরোধী অভিযানও। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৬০ জনেরও বেশি চোলাইকারবারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে বহু ভাটিখানাও। বুধবার রাতেও পূর্ব বর্ধমান জেলার ৫টি থানায় ব্যাপকভাবে অভিযান চালালো পুলিশ এবং আবগারী দপ্তর। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এই চোলাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযানকে সর্বাত্মক করতে বুধবারই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করা হয়েছে। আর এই বৈঠকেই চোলাই বিরোধী অভিযানের পাশাপাশি চোলাই প্রস্তুতকারীদের এই পেশা ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে উদ্যোগ নিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব। একইসঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের এই চিন্তাভাবনাকে মডেল হিসাবে খাড়া করে গোটা রাজ্য জুড়েই এবং বিশেষত তপশীলি উপজাতি এলাকাগুলিতে ছড়িয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য তপশীলি উপজাতি সেলের সভাপতি দেবু টুডু।
এদিন দেবু টুডু জানিয়েছেন, এই চোলাইপ্রস্তুতকারীদের মধ্যে কেউ কেউ স্বভাবে এই কাজ করলেও অনেকেই অভাব মেটাতে এই ধরণের কাজ করে থাকেন। সেই সমস্ত শ্রেণীর মানুষের জন্য রাজ্য সরকারের যে সমস্ত প্রকল্পগুলি রয়েছে সেগুলি কিভাবে তাদের হাতে পৌঁছে দেওয়া যায়। সে ব্যাপারে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সমাজের এই চোলাইরূপী রোগকে নির্মূল করতে সরকারী প্রকল্পকেই হাতিয়ার করতে চাইছেন তাঁরা। এর মধ্যে রয়েছে ওই সমস্ত মানুষকে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ দেওয়া। রয়েছে উপজাতি শ্রেণীভুক্ত এই ধরণের চোলাই প্রস্তুতকারীদের কিংবা চোলাই কারবারীদের মধ্যে যাঁরা বৃদ্ধ-বৃদ্ধা তাঁদের বার্ধক্যভাতা প্রদান করা।
দেবু টুডু জানিয়েছেন, তাঁরা ব্লক ভিত্তিক রিপোর্ট পাবার পর চিহ্নিত মানুষদের কি কি সুবিধা দিলে তাঁরা এই পেশা ত্যাগ করবেন তা জানার পরই তাঁরা ওই সমস্ত মানুষকে সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে কিভাবে আনা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন। তিনি জানিয়েছেন, দলীয়ভাবেও বিভিন্ন জেলায় জেলায় গিয়ে তপশীলি উপজাতি মানুষ যাঁরা এই কাজে যুক্ত তাদের ওই কাজ ছেড়ে সরকারী প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসার আহ্বান জানাবেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি দলীয় স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় দেবু টুডুকে রাজ্য তপশীলি উপজাতি সেলের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব দিয়ে রাজ্য জুড়েই কাজে নামার নির্দেশ দিয়েছেন। সামনেই লোকসভা নির্বাচন, তার আগে চোলাই মদ নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি চোলাইয়ের ভাটিখানা ভেঙ্গে দেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে চোলাই প্রস্তুতকারীদের পুর্নবাসন নিয়ে। আর তাই পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন এব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
খোদ জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, রোগ সারানোর পাশাপাশি রোগের উৎসকেও নির্মূল করতে চাইছেন তাঁরা। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি ব্লকের বিডিওদের এলাকাভিত্তিক চোলাই মদ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ওই রিপোর্ট পাবার পরই এব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এদিন দেবু টুডু জানিয়েছেন, এই চোলাইপ্রস্তুতকারীদের মধ্যে কেউ কেউ স্বভাবে এই কাজ করলেও অনেকেই অভাব মেটাতে এই ধরণের কাজ করে থাকেন। সেই সমস্ত শ্রেণীর মানুষের জন্য রাজ্য সরকারের যে সমস্ত প্রকল্পগুলি রয়েছে সেগুলি কিভাবে তাদের হাতে পৌঁছে দেওয়া যায়। সে ব্যাপারে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সমাজের এই চোলাইরূপী রোগকে নির্মূল করতে সরকারী প্রকল্পকেই হাতিয়ার করতে চাইছেন তাঁরা। এর মধ্যে রয়েছে ওই সমস্ত মানুষকে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ দেওয়া। রয়েছে উপজাতি শ্রেণীভুক্ত এই ধরণের চোলাই প্রস্তুতকারীদের কিংবা চোলাই কারবারীদের মধ্যে যাঁরা বৃদ্ধ-বৃদ্ধা তাঁদের বার্ধক্যভাতা প্রদান করা।
দেবু টুডু জানিয়েছেন, তাঁরা ব্লক ভিত্তিক রিপোর্ট পাবার পর চিহ্নিত মানুষদের কি কি সুবিধা দিলে তাঁরা এই পেশা ত্যাগ করবেন তা জানার পরই তাঁরা ওই সমস্ত মানুষকে সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে কিভাবে আনা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন। তিনি জানিয়েছেন, দলীয়ভাবেও বিভিন্ন জেলায় জেলায় গিয়ে তপশীলি উপজাতি মানুষ যাঁরা এই কাজে যুক্ত তাদের ওই কাজ ছেড়ে সরকারী প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসার আহ্বান জানাবেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি দলীয় স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় দেবু টুডুকে রাজ্য তপশীলি উপজাতি সেলের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব দিয়ে রাজ্য জুড়েই কাজে নামার নির্দেশ দিয়েছেন। সামনেই লোকসভা নির্বাচন, তার আগে চোলাই মদ নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি চোলাইয়ের ভাটিখানা ভেঙ্গে দেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে চোলাই প্রস্তুতকারীদের পুর্নবাসন নিয়ে। আর তাই পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন এব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
খোদ জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, রোগ সারানোর পাশাপাশি রোগের উৎসকেও নির্মূল করতে চাইছেন তাঁরা। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি ব্লকের বিডিওদের এলাকাভিত্তিক চোলাই মদ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ওই রিপোর্ট পাবার পরই এব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।