latest
state
জেলা
প্রতিরক্ষা
রাজ্য
ইণ্ডিয়ান অয়েলের নকল মহরত দেখাতে গিয়ে আগুনে ঝলসালো এক শ্রমিক, চাঞ্চল্য
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ তেল পাইপের লাইনে আগুন ধরলে কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয় তার 'মক ড্রিল' তথা নকল মহরত করতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেল এক ইণ্ডিআন অয়েলের মেইনটেন্সে কর্মরত যুবক। রীতিমত বিনা সুরক্ষায় পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালাতে গিয়ে ওই যুবকের আহত হওয়ার ঘটনায় রীতিমত প্রশ্ন উঠেছে তেল কোম্পানী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আহত ওই যুবকের নাম চন্দন বেড়া। বাড়ি হলদিয়ায়। গুরুতর আহত যুবককে নিয়ে যাওয়া হল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার চাঁচাইয়ে তেল বহনকারী পাইপ বসিয়ে দিয়ে এই নকল মহরতের আয়োজন করেছিল দুর্গাপুরের রাজবাঁধের ইণ্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। মূলত জনবসতির পাশ দিয়ে বহু জায়গায় তেল পাইপ আছে। হলদিয়া থেকে বারাউনি মোট ৫২৪ কিলোমিটারে প্রতি ৫০ কিলোমিটার অন্তর ভাল্ব বসানো আছে। তেল পাইপে লিক, আগুন বা কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই ভাল্ব বসানো আছে। অনেক সময় জনবসতির পাশে তেল পাইপে লিক করলে এলাকার মানুষজন ওই জায়গায় চলে যায়। তাতে বিপদ ঘটতে পারে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্যই প্রায় নিয়মিতই বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে গ্রামবাসীদের সচেতন করতে এই ধরণের অফ সাইট মক ফায়ার ড্রিল দেখানো হয়। একইসঙ্গে এই ধরণের ঘটনা ঘটলে কিভাবে তা রোখা যাবে সে ব্যাপারে এই ধরণের কাজের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত সেই দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর – তাঁরা কতটা তৎপর তাও কার্যত পরীক্ষা করে দেখা হয় এই ধরণের মহরতে।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে চাঁচাইয়ে এই নকল মহরতে খড়ের গাদায় পেট্রোল ঢেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেখানোর সময় চন্দন বেড়া নামে ওই যুবকের গায়ে আগুন ধরে যায়। এই কাজ করার সময় তার শরীরে কোনোরকম নিরাপত্তামূলক পোশাক ছিল না। কার্যত আগুনের হাত থেকে বাঁচতে তিনি ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পড়েছেন আয়োজক কর্তৃপক্ষরা। এব্যাপারে দুর্গাপুরের রাজবাঁধে ইণ্ডিয়ান অয়েলের ডেলিভারী বিভাগের ষ্টেশন ম্যানেজার জয়দেব মান্না জানিয়েছেন, এটা অত্যন্ত দুঃখের ঘটনা। কিভাবে নিরাপত্তা ছাড়াই ওই শ্রমিক এই কাজ করল তা তদন্ত করে দেখা হবে। যদিও উপস্থিত গ্রামবাসীরা এদিন জানিয়েছেন,দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য এদিন চোখের সামনেই ওই যুবকের প্রাণহানিও ঘটতে পারত।