ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ ছোট মেয়ের আব্দার মেনে তার জন্মদিনের রাতে কোনো পার্টি তথা ভোজের আয়োজন করতে পারেননি অভাবী বাবা-মা। তার জেরে অভিমানে আত্মঘাতি হল দশম শ্রেণীর ছাত্রী রীতা রায় (১৫)। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের বোলপুরের কৃষ্ণবাটি এলাকায়। মৃত ছাত্রী স্থানীয় শৈলবালা গার্লস হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
মৃতের মা চুমকি রায় জানিয়েছেন, বুধবার ছিল রীতার জন্মদিন। তাঁর ৪ মেয়ের মধ্যে ২ মেয়ের বিয়ে আগেই হয়ে গেছে। তাঁর সেজ মেয়ে শিখা রায় দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। রীতা ছোট মেয়ে। তিনি জানান, সব্জী বিক্রেতা তাঁর স্বামী তুলসী রায় প্রতিদিনের মতই বুধবার সকালে সব্জী বিক্রি করতে বেড়িয়ে যান। তিনি পরিচারিকার কাজে বেড়িয়ে যান। বিকাল ৪ টে নাগাদ তিনি বাড়ি ফিরলে তাঁর দুই মেয়ে জানান, রীতার জন্মদিন উপলক্ষে ইতিমধ্যেই তারা প্রায় ১৫০ জনকে নেমতন্ন করেছেন। রাতে তাদের পার্টি হবে। চুমকিদেবী জানিয়েছেন, মেয়েদের আব্দার শুনে তিনি রীতাদের জানান ১৫০ জনকে খাওয়াতে অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু তার কাছে মাত্র ১৫০০ টাকা আছে, যা দিয়ে এই ভোজ দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি জানান, বাবা (তুলসীবাবু) ফিরলে তার সংগে আলোচনা করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। কিন্তু তা মানতে চায়নি রীতা। এনিয়ে মা-এর সংগে বচসাও হয় দুই মেয়ের। মেয়েরা জানায়, ইতিমধ্যেই তারা ১৫০জনকে নেমতন্ন করে ফেলেছে। কিন্তু এই আয়োজন নিয়ে আপত্তি জানান চুমকিদেবী। রীতা মা-কে জানায়, জন্মদিনে তার পার্টি না হলে সে সবাইকে মজা দেখাবে। আর এরপরই ঘরের মধ্যে ঢুকে রীতা নিজেই গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে তাকে বীরভূমের সিয়ান হাসপাতাল এবং পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়। আর মর্মান্তিক এই পরিণতির খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও রীতার বন্ধু মহলে।
মৃতের মা চুমকি রায় জানিয়েছেন, বুধবার ছিল রীতার জন্মদিন। তাঁর ৪ মেয়ের মধ্যে ২ মেয়ের বিয়ে আগেই হয়ে গেছে। তাঁর সেজ মেয়ে শিখা রায় দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। রীতা ছোট মেয়ে। তিনি জানান, সব্জী বিক্রেতা তাঁর স্বামী তুলসী রায় প্রতিদিনের মতই বুধবার সকালে সব্জী বিক্রি করতে বেড়িয়ে যান। তিনি পরিচারিকার কাজে বেড়িয়ে যান। বিকাল ৪ টে নাগাদ তিনি বাড়ি ফিরলে তাঁর দুই মেয়ে জানান, রীতার জন্মদিন উপলক্ষে ইতিমধ্যেই তারা প্রায় ১৫০ জনকে নেমতন্ন করেছেন। রাতে তাদের পার্টি হবে। চুমকিদেবী জানিয়েছেন, মেয়েদের আব্দার শুনে তিনি রীতাদের জানান ১৫০ জনকে খাওয়াতে অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু তার কাছে মাত্র ১৫০০ টাকা আছে, যা দিয়ে এই ভোজ দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি জানান, বাবা (তুলসীবাবু) ফিরলে তার সংগে আলোচনা করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। কিন্তু তা মানতে চায়নি রীতা। এনিয়ে মা-এর সংগে বচসাও হয় দুই মেয়ের। মেয়েরা জানায়, ইতিমধ্যেই তারা ১৫০জনকে নেমতন্ন করে ফেলেছে। কিন্তু এই আয়োজন নিয়ে আপত্তি জানান চুমকিদেবী। রীতা মা-কে জানায়, জন্মদিনে তার পার্টি না হলে সে সবাইকে মজা দেখাবে। আর এরপরই ঘরের মধ্যে ঢুকে রীতা নিজেই গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে তাকে বীরভূমের সিয়ান হাসপাতাল এবং পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়। আর মর্মান্তিক এই পরিণতির খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও রীতার বন্ধু মহলে।