ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ রাত পোহালেই ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনা। আর তাই চলছে রীতিমত আয়োজনের প্রস্তুতি। প্রতিমা থেকে ফলমূল – আনাজপত্রের দাম গতবারের থেকেও চড়েছে। কিন্তু তারই মাঝে বিশেষত শহুরে মানুষদের কাছে স্বস্তি এনে দিয়েছে লক্ষ্মীপুজোর উপকরণের প্যাকেজ ব্যবস্থা। দিন পাল্টেছে। এখন শহুরে ফ্ল্যাট কালচারে অভ্যস্ত মানুষের কাছে বেলপাতা থেকে পুজোর ফুল সহ অন্যান্য উপকরণের আয়োজন করতে রীতিমত কালঘাম ছুটে যায়। কোথায় বেলপাতা, কোথায় ফুল, কোথায় সরকাঠি - খুঁজে বেড়াতে হয়। কংক্রিটের জঙ্গলের সুবাদে এখন এই সমস্ত গাছ শহর থেকে অদৃশ্য। এমনকি গ্রাম বাংলাতেও এই সমস্ত গাছ ক্রমশই কমে আসছে। কিন্তু তাই বলে পুজোর আয়োজনে তার কোনো অভাব নেই। সবই এখন প্যাকেজের দুনিয়ায় হাতের মুঠোয় এসে গেছে।
লক্ষ্মীপুজোতেও তাই হাইটেক ব্যবস্থা পূর্ব বর্ধমানে। পুজোর জন্য আর কোথায় ফুল, কোথায় বেলপাতার জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না। একেবারে প্যাকেজ সিস্টেম চালু হওয়ায় রীতিমত খুশী সাধারণ মানুষও। রাত পোহালেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় মাতবেন বাঙালীরা। ঘরে ঘরে লক্ষ্মীর আরাধনায় তাই চলছে পুরোদমে আয়োজনের ব্যস্ততা। পেট্রোল – ডিজেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবছর ছাঁচের ঠাকুর থেকে প্রতিমার দামও বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ফলমূল-আনাজেরও।
কিন্তু শহুরে মানুষদের রীতিমত স্বস্তি এনে দিয়েছে পুজোর উপকরণের প্যাকেজ। ১০টাকা থেকে ২০ টাকার প্যাকেজে পাওয়া যাচ্ছে ফুল, বেলপাতা, তুলসী পাতা, পান, কলা প্রভৃতি। রয়েছে গোটা বেল, কলআঁটি সবই প্যাকেজের মধ্যে। তবে বাজারে সমস্ত কিছুর দাম বাড়ায় এই প্যাকেজের ক্ষেত্রেও সামান্য কিছু দর বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে তাতেও অখুশীর কোনো কারণ নেই। ক্রেতারা এক লপ্তে হাতের মুঠোয় সবকিছু পেয়ে যাওয়ায় বেজায় খুশী।
ভাতারের বনপাশের বাসিন্দা গৃহবধু শর্মিষ্ঠা সাউ জানিয়েছেন, এই যে পুজোর উপকরণের জন্য ফুল, আমের শাখা, তুলসী পাতা, বেলপাতা প্রভৃতিকে একটা প্যাকেজের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে - এতে তাঁদের ভীষণ সুবিধা হয়েছে। এখন আর অন্যের বাড়িতে গিয়ে ফুল,পাতা চাইতে হবে না। এমনকি খুঁজেও বেড়াতে হবে না। বর্ধমানের বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের বাসিন্দা অলোকা বিশ্বাস জানিয়েছেন, এই প্যাকেজ ব্যবস্থা চালু হওয়ায় তাঁদের খুবই সুবিধা হয়েছে।
অন্যদিকে, বিক্রেতা আনন্দ চৌধুরী জানিয়েছেন, এবছর এই সমস্ত ফুল-পাতা সংগ্রহ করতে গিয়ে তাদের খরচ বেশি হওয়ায় প্যাকেজের দামও বেশি হয়েছে। রায়নার ছোটকয়রাপুর থেকে এই সমস্ত পুজোর উপকরণ বিক্রি করতে এসেছিলেন সরস্বতী রুইদাস। তিনি জানিয়েছেন, এবছর বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করতে তাদের কিছুটা অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। তাই ধানের শিস থেকে ডাবের শিস প্রভৃতির দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, প্রতিমা বিক্রেতারা জানিয়েছে্ন, পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জন্য প্রতিমা তৈরীর সমস্ত উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারে প্রতিমার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে গড়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। একইসঙ্গে গড়ে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ছাঁচের ঠাকুরেরও।
কিন্তু শহুরে মানুষদের রীতিমত স্বস্তি এনে দিয়েছে পুজোর উপকরণের প্যাকেজ। ১০টাকা থেকে ২০ টাকার প্যাকেজে পাওয়া যাচ্ছে ফুল, বেলপাতা, তুলসী পাতা, পান, কলা প্রভৃতি। রয়েছে গোটা বেল, কলআঁটি সবই প্যাকেজের মধ্যে। তবে বাজারে সমস্ত কিছুর দাম বাড়ায় এই প্যাকেজের ক্ষেত্রেও সামান্য কিছু দর বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে তাতেও অখুশীর কোনো কারণ নেই। ক্রেতারা এক লপ্তে হাতের মুঠোয় সবকিছু পেয়ে যাওয়ায় বেজায় খুশী।
ভাতারের বনপাশের বাসিন্দা গৃহবধু শর্মিষ্ঠা সাউ জানিয়েছেন, এই যে পুজোর উপকরণের জন্য ফুল, আমের শাখা, তুলসী পাতা, বেলপাতা প্রভৃতিকে একটা প্যাকেজের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে - এতে তাঁদের ভীষণ সুবিধা হয়েছে। এখন আর অন্যের বাড়িতে গিয়ে ফুল,পাতা চাইতে হবে না। এমনকি খুঁজেও বেড়াতে হবে না। বর্ধমানের বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের বাসিন্দা অলোকা বিশ্বাস জানিয়েছেন, এই প্যাকেজ ব্যবস্থা চালু হওয়ায় তাঁদের খুবই সুবিধা হয়েছে।
অন্যদিকে, বিক্রেতা আনন্দ চৌধুরী জানিয়েছেন, এবছর এই সমস্ত ফুল-পাতা সংগ্রহ করতে গিয়ে তাদের খরচ বেশি হওয়ায় প্যাকেজের দামও বেশি হয়েছে। রায়নার ছোটকয়রাপুর থেকে এই সমস্ত পুজোর উপকরণ বিক্রি করতে এসেছিলেন সরস্বতী রুইদাস। তিনি জানিয়েছেন, এবছর বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করতে তাদের কিছুটা অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। তাই ধানের শিস থেকে ডাবের শিস প্রভৃতির দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, প্রতিমা বিক্রেতারা জানিয়েছে্ন, পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জন্য প্রতিমা তৈরীর সমস্ত উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারে প্রতিমার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে গড়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। একইসঙ্গে গড়ে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ছাঁচের ঠাকুরেরও।