Headlines
Loading...
চাহিদা তলানিতে,তবু ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে মাটির প্রদীপ বানাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা

চাহিদা তলানিতে,তবু ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে মাটির প্রদীপ বানাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা



ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,দক্ষিন দিনাজপুরঃ আর মাত্র কটা দিন, তারপর দীপাবলির আলোয় আলোকিত হয়ে উঠবে গোটা দেশ। একসময়ের আবেগমাখা সেই মাটির প্রদীপের চাহিদা আজ প্রায় বিলুপ্ত হতে বসেছে। ঐতিহ্যের মাটির প্রদীপ হারিয়ে যেতে বসেছে আজকের ডিজিটাল যুগে। তাই হাতে বানানো গ্রাম বাংলার মাটির প্রদীপ থেকে মুখ ফিরিয়েছে অনেকে। কিন্তু, চাহিদা কমলেও পূর্বপুরুষের স্মৃতি ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে আজও মাটির প্রদীপ তৈরি করে আসছেন মৃৎশিল্পীরা।

একসময় দীপাবলিতে প্রদীপের বাজার ছিল রমরমা। এখন একরকম লাভ হয় না বললেই চলে। বছর কয়েক আগে থেকেই বাজারে ছেয়ে গেছে চায়না লাইট। ধীরে ধীরে তা বাজার দখলও করেছে । যুগের বিবর্তনের সঙ্গে বর্তমানে এলইডি আলোর কদরও অনেকগুন বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মাটির প্রদীপের চাহিদা তাই তুলনামূলক ভাবে কমেছে অনেকটাই। আর তাই চরম সঙ্কটে পরেছেন মৃৎশিল্পীরা। যদিও তারই মধ্যে মৃৎশিল্পীরা প্রদীপ তৈরি করে চলেছেন কেবলমাত্র এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে। 

দক্ষিন দিনাজপুর জেলার জয় পাল নামে এক মৃৎশিল্পী জানান, প্রদীপ তৈরির যাবতীয় উপকরন অর্থাৎ মাটি থেকে সবই কিনতে হয় তাদের। একটা প্রদীপ তৈরি করে তা পোড়ানোর পর বাজারজাত করতে খরচ পড়ে ৩০-৪০ পয়সা। আর সেই প্রদীপ বিক্রি হয় ৪০-৫০ পয়সায়। প্রদীপ বিক্রি করে লাভের মুখ খুব কমজনই দেখেন। তাই লাভের আশায় নয়, এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতেই মাটির প্রদীপ তৈরি করছেন তাঁরা। তিনি জানান, আগের মত মাটির প্রদীপের আর চাহিদা নেই। বাজার ছেয়ে গেছে চায়না এলইডি লাইটে। মাটির তৈরি প্রদীপ টেক্কা দিতে পারছে না। আগে এক একজন ১০০-২০০ করে মাটির প্রদীপ কিনে নিতেন। সেখানে এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ৪-৫টা বা ১০টা। কালীপুজো বা দীপাবলির জন্য একটু বেশি করে মাটির প্রদীপ তৈরি করা হয়।জয় বাবুর আক্ষেপ, তাঁদের ছেলেরা এই সব কাজ করেন না। লাভের আশা না থাকলেও, যতদিন পারবেন তিনি নিজেই কাজ করে যাবেন বলে জানান তিনি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});