পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ বিবাহ বিচ্ছেদ রুখতে ফের অভিনব নিদান দিলেন বীরভূম জেলা আদালতের বিচারক পার্থ সারথী সেন। নিজের বাড়িতে নয্ শ্বশুরবাড়িতেই নিজের স্ত্রীর সাথে তিন দিন কাটাতে হবে একসাথে, এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অভিযোগ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে মল্লারপুরের বাসিন্দা পেশায় স্কুল শিক্ষক কৌশিক মুখার্জির সাথে বিয়ে হয় বোলপুরের ঐশ্বর্যা মুখার্জির। ছয় লক্ষ টাকা পণ দিয়ে বিয়ে দেওয়ার পরও শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে প্রায়শই অতিরিক্ত পণের দাবিতে মারধর করা হতো এই গৃহবধূকে। শ্বাসরোধ করে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টাও করা হয়েছে বেশ কয়েকবার বলে অভিযোগ। শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মাসখানেক আগে বাপের বাড়ি চলে আসেন মেয়েটি। এরপর মল্লারপুর থানায় ঘটনার কথা লিখিতভাবে জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। মেয়েটির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বধূ নির্যাতন (৪৯৮ এ), প্রাণে মারার চেষ্টা (৩০৭) সহ একাধিক ধারাই মামলা রুজু হয় সিউড়ি আদালতে।
বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি করতে গিয়ে বিচারক পার্থ সারথী সেন জানান, এখনই বিবাহ বিচ্ছেদ নয়। তিন দিন কাটাতে হবে শশুর ঘরে অর্থাৎ স্ত্রীর বাপের বাড়িতে। তিনদিন পর ফের আদালতে এসে জানাতে হবে কেমন কাটিয়েছেন তারা এই তিন দিন। যদি সঠিক উত্তর পাই তাহলে আর বিবাহ বিচ্ছেদ করা যাবে না, নতুবা ফের শুনানি হবে এই মামলায়।
বিচারকের নির্দেশের পর আগামিকাল সকাল থেকেই শুশুর বাড়িতে থাকবেন কৌশিক মুখার্জি। স্বামী ও স্ত্রী ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে না চাইলেও, দুজনেই আশাবাদী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবার ব্যাপারে।
এটাই প্রথম নয়, মাস ছয়েক আগে এমনই এক মামলায় দম্পতিকে তিন রাত্রি হোটেলে কাটানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক পার্থসারথি সেন। এমনকি সমস্ত খরচা বহন করেছিলেন বিচারক নিজেই।