সান্তনু দাস,পুরুলিয়াঃ পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুরে তৃণমূল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক জেলে ১১৪ দিন বন্দী থাকার পর অবশেষে জেল থেকে বেরিয়েই একরাশ দুঃখ আর অভিমান নিয়ে বজরং দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন দলের পুরুলিয়া জেলা সহ-সংযোজক গৌরব সিং সহ তার দলবল। আর এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
বুধবার কলকাতার তৃণমূল ভবনে গৌরব সিং সহ তার দলবলের হাতে তৃনমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্য সভার সাংসদ শান্তনু সেন। এদিনের যোগদান অনুষ্ঠানে সাংসদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো, জেলার যুব সভাপতি সুশান্ত মাহাতো,পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় ব্যানার্জি, পুরুলিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান সামিম দাদ খান সহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের একঝাক নেতৃবৃন্দ।
রাজ্য সভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন,"পুরুলিয়া জেলা বজরং দলের কাঁধে চেপে মানুষকে বিপথে চালিত করার একটা প্রক্রিয়া শুরু করেছিল পুরুলিয়া জেলা বিজেপি। তা আজ পুরুলিয়া বজরং দল বুঝতে পেরেছে। তাই আজ তারা সকলে মিলে বজরং দল ত্যাগ করে মা-মাটি-মানুষের উন্নয়নে তৃণমূলে যোগদান করলেন। এখন থেকে পুরুলিয়া জেলায় বজরং দলের আর কোনও অস্তিত্ব থাকলো না।"
অন্যদিকে জেল থেকে বেরিয়েই সহ-সংযোজক গৌরব সিং বিজেপির নেতা কর্মীদের উপর একরাশ ক্ষোভ উগরে তার সমর্থক এবং বন্ধুদের ফেসবুকে পোস্ট করে জানান,"বজরং দল থেকে সে এবার সরে যেতে চায়। তবে ভয়ে নয়,দুঃখ আর অভিমানেই সরে যেতে চায়।" গৌরব সিং তার ফেসবুক পেজে আরও পোস্ট করেন,"১১৪ দিন জেলে থাকা কালীন তার বাড়িতে ১ কিলো চালও পৌঁছে দেয়নি কেউ।" এমনকি তিনি তার পোস্ট-এ উল্লেখ করেন,"রামের নামে রাজনীতি করে নেতারা গাড়ি কিনছে,আর আমরা রামভক্তরা পরিবারের মুখে দুবেলা খাবার দিতে পারছিনা।" আজ বিপদে কেউ পাশে নেই,কাল কিন্তু সমালোচনা করার জন্য সবাই থাকবে।"