এম কৃষ্ণা,বর্ধমানঃ 'দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায়, রইল না' ৷ না, এমন নয় ৷
ফেলে আসা সোনালি দিনগুলোর কিছু মূহুর্ত আবার নিজেদের মাঝে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিল বর্ধমান রেলওয়ে বিদ্যাপীঠ ৷ দেখতে দেখতে ৫০ বছরে পা রাখতে চলেছে এই বিদ্যালয় ৷ আগামী বছরের শুরুতেই সুবর্নজয়ন্তী বর্ষ পালনের আগে রবিবার এক অনুষ্টানের আয়োজন করে বিদ্যালয় ৷ সেখানেই প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্ররা আবেগে মাখামাখি ৷ বর্তমান শিক্ষকদের মাঝে প্রাক্তন দুই শিক্ষক তরিৎ কুমার হাজরা ও বরদা সেনের উপস্থিতি অনুষ্ঠানের মাত্রাকে অন্য জায়গায় নিয়ে গেলো ৷ মঞ্চে হাজির ছিলেন প্রাক্তন ছাত্র তথা এলাকার কাউন্সিলর সৈয়দ মহম্মদ সেলিম। এছারাও বর্তমান টিচার ইন চার্জ অরুপ সাহা সহ অন্যান্য শিক্ষক অনিন্দ চক্রবর্তী, সৈকত দত্ত, প্রিয়গোপাল হাজরা, তরুন কুমার বৈরাগ্য, অরুনাভ হালদার, বিশ্বরুপ ব্যানার্জী প্রমুখদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে অন্য মাত্রা এনে দেয় ৷
অনুষ্টানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এত বছরেও বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমির রেকর্ড না হওয়ায় সরকারি সাহায্য না পাবার কথা তুলে ধরেন শিক্ষক অরুপ সাহা ৷ কাউন্সিলর সৈয়দ মহম্মদ সেলিম বিদ্যালয়ের উন্নতিতে সাহায্যের কথা বলেন ৷ নজর কাড়েন বিদ্যালয়ের প্রথম বছরের দুই ছাত্র অভিজিৎ চঞ্রবর্তী ও অরুন মন্ডল ৷ চলতে থাকে স্মৃতিচারণা বিভিন্ন ব্যাচের ছাত্রদের মধ্যে ৷
১৯৯৫ সালের ব্যাচের ছাত্র বিশ্বনাথ সিং,মৃত্যুঞ্জয় কর্মকাররা নিজেদের মধ্যে দীর্ঘ ২২বছর পর দেখা হওয়ায় চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না ৷ খুঁজে বেড়ালেন প্রিয় সাথি আনন্দ, অর্ঘ্য, কৃষ্ণ, সঞ্জয়, বিজয়,রাজীব সিংহ সহ অনেককে ৷ ছাত্রদের মাঝে বার বারই উঠে আসছিলো প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত মন্ডল, কিশোর কোনার, শান্ত সিংহ, সাগরবাবু দের নাম ৷ অনুষ্ঠানকে সুন্দর ভাবে এগিয়ে নিয়ে গেলেন স্বরুপা দাস, দেবলীনা দত্ত সহ স্কুলের বর্তমান বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী ৷ সুবর্ন জয়ন্তী অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ২ থেকে ৫জানুয়ারী ৷ আর তার আগেই এদিনের মিলন উৎসব নবীন প্রবীণ সবাইকে বেঁধে দিলো এক সুতোয়।