Headlines
Loading...
দুই রাজ্যের মধ্যে প্রশাসনিক বৈঠকের পরও মিটলো না ম্যাসেঞ্জর জট

দুই রাজ্যের মধ্যে প্রশাসনিক বৈঠকের পরও মিটলো না ম্যাসেঞ্জর জট



পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ দুই রাজ্যের মধ্যে প্রশাসনিক বৈঠকের পরও মিটলো না ম্যাসেঞ্জর জট। কার্যত সমস্ত রকম দায়ভার ঝেরে ফেলে ঝাড়খন্ড প্রশাসন জানিয়ে দিল সরকারের পক্ষ থেকে রঙ করাতে বাধা দেওয়া হয় নি। বাধা দেওয়া হয়েছে কিছু রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। 

প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই হাওয়া গরম করছে বিজেপি, এই প্রশ্ন তুলছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার, আর এদিন কার্যত এই কথাকেই সীল মোহর দিলো ঝাড়খন্ড প্রশাসন। দিন কয়েক আগের থেকে ম্যাসেঞ্জর ড্যামকে নীল সাদা রং করা এবং ঝাড়খণ্ডের জমিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশ্ব বাংলা লোগো লাগানোকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে ওঠে। তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রথম থেকেই বারবার দাবি করে আসছে ম্যাসেঞ্জর তাদের জায়গা, এখানে এটা কোন ফ্যাক্ট নয় । সমস্ত রকম আইন-কানুন মেনে করা হচ্ছে এই কাজ। 

অপরদিকে বিজেপি শাসিত ঝাড়খণ্ডের দাবি ছিল, পশ্চিমবঙ্গ গায়ের জোরে এমনটা করছে। এমন সময় গত পাঁচ তারিখ ঝাড়খণ্ডের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী লুইস মারান্ডি ম্যাসেঞ্জর যান এবং বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন । তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেন, 'ঝাড়খণ্ডের দিকে তাকালে চোখ উপড়ে নেবে তারা।' এরপরই রাজনৈতিক তরজা আরো প্রকট আকার নেয় দুই রাজ্যের মধ্যে । কেউ এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে রাজি নয় একে অপরকে। 

এদিকে গত সোমবার অর্থাৎ ৬ আগস্ট ঝাড়খন্ড প্রশাসনের সাথে বৈঠক করার জন্য বীরভূম থেকে পৌঁছান বীরভূমের এডিএম(উন্নয়ন) রঞ্জন কুমার ঝাঁ ও এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কিংশুক মন্ডল। কিন্তু তারা ঝাড়খন্ড কালেক্টরেট অফিস দুমকা তে গিয়ে পৌঁছালে তাদের সাথে দেখা করেননি জেলাশাসাসমুকেশ কুমার। দেখা না করা নিয়েও আবার নতুন করে শুরু হয় বিতর্ক। অবশ্য ঝাড়খন্ড প্রশাসনের দাবি শ্রাবণী মেলা চলার জন্য প্রশাসনিক কর্তারা খুবই ব্যস্ত,সেই কারণেই দেখা করতে পারেনি তারা। তারা এও জানান, তাদের সাথে কোনরকম যোগাযোগ না করেই সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন বীরভূমের অফিসাররা। এরপর আগামী বুধবার বীরভূম প্রশাসনের সাথে দেখা করার সময় দেন দুমকা প্রশাসন। 

সেই মতো আজ আবার দুমকায় গিয়ে পৌঁছান বীরভূমের প্রতিনিধি দল। কিন্তু দুই জেলার প্রশাসনিক বৈঠকেও মিললো না সমাধান সুত্র। পরিবর্তীকালে দুই জেলা শাসকের মধ্যে হবে বৈঠক জানালেন ঝাড়খন্ড প্রশাসন। 

ম্যাসেঞ্জর ড্যাম নিয়ে ঝামেলার সমস্ত রকম দায়ভার এড়িয়ে দুমকা জেলাশাসক মুকেশ কুমার দাবী করেন যে, 'প্রশাসনের তরফে ম্যাসেঞ্জরের কাজে কোন বাধা দেওয়া হয়নি। বাধা দিয়েছে এলাকার কিছু মানুষ ও রাজনৈতিক দল। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ট পরিস্থিতি বজায় রেখে সমস্যা সমাধানের চেস্টা করছি। তিনি আরো জানান, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের সাথে ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার সম্পর্ক খুবই ভালো, কোনো রকম কোনো অশান্তি নেই ,অনেক মানুষ ঝারখান্ড থেকে পশ্চিমবঙ্গে যান এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঝাড়খন্ডে আসেন।'
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});