ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে এক রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মৃত রোগীর নাম কালাচাঁদ মালিক(৩৬)। বাড়ি দেওয়ানদিঘী খরিদ্দ্যা এলাকায়। মৃতের আত্মীয়দের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি মাথার যন্ত্রণা ও বমিতে ভুগছিলেন। এজন্য তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় প্রায় ১০দিন আগে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে দেখে সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দিয়ে কয়েকটি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট লিখে দেন। এরপর বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিটি স্ক্যান বন্ধ থাকায় তাঁকে অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি ১৬ আগষ্ট সিটি স্ক্যান করান। এরপর বাড়ি চলে যান। কিন্তু রোগের উপসর্গ আরও বাড়ায় তাঁকে মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় রাধারাণী ওয়ার্ডে। কিছুক্ষণ পরই তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট তাঁরা সঠিক সময়ে পাননি। রোগী মারা যাবার পর তাঁর রিপোর্ট আসে। এরপরই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল জুড়ে। রোগী পক্ষের লোকজন হাসপাতালের সুপারের অফিসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান এবং চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেন। রোগীপক্ষের দাবী সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। সঠিক সময়ে সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট আসলে কালাচাঁদ মালিকের যথাযথ চিকিৎসা হত। হয়ত তাঁকে বাঁচানোও যেত।
এব্যাপারে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডা. উৎপল দাঁ চিকিৎসার বিশেষত, সিটি স্ক্যানের রিপোর্টের বিষয়ে গাফিলতির অভিযোগকে স্বীকার করে নিয়েছেন। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন সুপার।