ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, বর্ধমানঃ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে এক মহিলার রীতিমত সাহসিকতার জন্য ধরা পড়ল এক ছিনতাইবাজ। এই ঘটনায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
বীরভূমের ময়ুরেশ্বর থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মা ও স্বামীকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছিলেন ঝর্ণা মণ্ডল। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি তাঁর মা বৃদ্ধা অনিমা মণ্ডলকে ডাক্তার দেখিয়ে একটি গাছের তলায় বসিয়ে দিয়ে তাঁর স্বামীকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যান। ফিরে এসে অনিমাদেবীকে গাছতলায় দেখতে না পেয়ে খোঁজখবর শুরু করেন। তখনই তিনি দূরে এক ব্যক্তির সঙ্গে মাকে যেতে দেখেন। তিনি দ্রুততার সঙ্গে মায়ের কাছে যান। সেই সময় ওই ব্যক্তি অনিমাদেবীকে হাসপাতালের একটি নির্জন গলিতে নিয়ে গিয়ে তাঁর হাতে একটি ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে অনিমাদেবীর কানের দুল খুলে নিচ্ছিলেন। বিষয়টি বুঝতে পেরেই ঝর্ণাদেবী ওই ব্যক্তিকে সপাটে এক চড় মেরে চিৎকার করতে থাকেন। এই সময় তাঁর হাত ছাড়িয়ে ছুটে পালাতে থাকেন ওই ছিনতাইবাজ। তিনিও পিছনে ছুটতে থাকেন। হাসপাতালের বাইরে একটি হোটেলের মধ্যে গিয়ে আশ্রয় নেন ছিনতাইবাজ। তিনিও পিছনে ছুটে গিয়ে হোটেলের মধ্যে ঢোকেন। এরপর সিভিক ভলেণ্টিয়াররা ওই ছিনতাইবাজকে সেখান থেকে ধরে নিয়ে আসেন হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে।
ঝর্ণাদেবীর অভিযোগক্রমে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ওই ছিনতাইবাজকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ছিনতাইবাজ একটি টাকার বাণ্ডিল দেবার নাম করে এর আগেও এই ধরণের প্রতারণা করেছে। ওই বাণ্ডিলের ওপরে ও নীচে একটি করে ১০০ টাকার নোট থাকলেও ভেতরে সাধারণ কাগজ ভরা ছিল। পুলিশ ওই নকল বাণ্ডিলটিকেও বাজেয়াপ্ত করেছে।
ঝর্ণা দেবী অভিযোগ করেছেন, এই ভাবে যদি হাসপাতাল চত্বরে ছিনতাইবাজরা ঘুরে বেরায় তাহলে দুরদুরান্ত থেকে চিকিৎসা করাতে আসা মানুষরা ভরসা পাবে কি ভাবে। কত্রিপক্ষের উচিত হাসপাতাল চত্বরকে রোগীদের জন্য আরও সুরক্ষিত করার ব্যাবস্থা করা।