ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: চলতি মার্চ মাসের শেষেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ হতে পারে। আর তার আগেই আগামী ২০ মার্চ বর্ধমানের সাই কমপ্লেক্স মাঠে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। একইসঙ্গে প্রশাসনিক সভা এবং জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই জোড়া কর্মসূচীকে ঘিরে কার্যত মঙ্গলবার থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাঠে নেমে পড়ল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। যদিও জেলা প্রশাসনের কোনো আধিকারিক সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর আসার চুড়ান্ত দিনক্ষণ সম্পর্কে মঙ্গলবার মুখ খুলতে রাজী হননি। কিন্তু প্রশাসন সূত্রেই খবর আগামী ২০ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে আসবেন সাই কমপ্লেক্স মাঠে। সেখানে জনসভা ও প্রশাসনিক বৈঠক সেরে সেইদিনই সড়ক পথে রওনা হয়ে যাবেন বীরভূমের উদ্দেশ্যে।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ মার্চ পর্যন্ত চলবে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। সরকারী বিধি অনুযায়ী মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় মাইক বাজানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর এই জোড়া কর্মসূচির সভায় এব্যাপারে যে দুটি মঞ্চ গড়ে তোলা হচ্ছে তাকে অত্যন্ত সুরক্ষিত করে গড়ে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে কোনোভাবেই ভেতরের আওয়াজ বাইরে না যায়। মাধ্যমিকের কথা মাথায় রেখেই বাইরে কোনোরকম মাইক লাগানো হচ্ছে না।আগামী ৬ দিনের মধ্যে পূর্ত দপ্তরকে দুটি আলাদা মঞ্চ সহ সমস্ত ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক এদিন জানিয়েছেন, চলতি মার্চ মাসের শেষের দিকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্টকে মাথায় রেখেই দ্রুত মুখ্যমন্ত্রীর এই জেলাওয়াড়ি সভা শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।প্রাথমিকভাবে জানা গেছে,ইনডোর জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন, শিলান্যাস এবং উপভোক্তাদের সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করবেন। প্রথম দফার এই ইনডোর জনসভার পর এই এলাকাতেই পৃথকভাবে নির্মিত আলাদা মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের সঙ্গে প্রশাসনিক সভা করবেন।
স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে রীতিমত আঁটোসাঁটো করার কাজ শুরু হয়েছে। যেহেতু ২০ মার্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকবে তাই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য পুলিশী ব্যবস্থার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্যও পুলিশী ব্যবস্থা কিভাবে করা হবে তা নিয়েও চলছে পরপর বৈঠক। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় আসার জন্য বিভিন্ন রুট থেকে বাস সহ অন্যান যানবাহন তুলে নিলে তার প্রভাব মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের ওপর পড়বে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।