পল মৈত্র,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ সরকারি ঘাস মারা বিষে বিঘের পর বিঘের ধান গাছ শুকিয়ে মরে গেছে। মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের। প্রায় একশো বিঘারও বেশি জমির ফসলের ক্ষতির সম্ভবনা তৈরী হয়েছে। আর এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকে। গত বছরের বন্যার পর ফের সরকারি ভাবে বিলি করা বিষে এমন ক্ষতিতে ঘুম উড়েছে কয়েকশো কৃষকের। এই ঘটনায় ফের একবার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছে কৃষকরা বলে ক্ষোভ জমেছে। ক্ষতিপূরণের জোরালো দাবী জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। তদন্ত করে সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছে কৃষি দপ্তর।
হিলি ব্লকের বিনশিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুঞ্জডুঙি, রুপবাটি, নসিরপুর সহ বেশকিছু গ্রামে এই চিত্র ধরা পড়েছে বিগত কয়েকদিন ধরে। একই চিত্র ধরা পড়েছে ওই ব্লকের জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায়। জানা যায়, এই মরশুমের বোরো ধান চাষ করতে ব্লকের কৃষকরা পরামর্শ নেন কৃষি দপ্তরের। যার পরিপ্রেক্ষিতে জমির ধানের ক্ষতিকারক হিসাবে জমিতে ঘাস নির্মূল করবার পরামর্শ দেন কৃষি আধিকারিকরা। আর সেই হিসাবে ব্লকের প্রত্যেক কৃষককে দপ্তরের তরফে বিনামূল্যে বিতরন করা হয় ঘাস মারার কীটনাশক। নির্দেশ অনুসারে ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা তাদের জমিতে সেই কীটনাশক প্রয়োগ করতেই বিঘার পর বিঘা ধানের গাছ শুকিয়ে মরে যেতে থাকে। যারা এই কীটনাশক প্রয়োগ করেননি তাদের জমির ফসল ঠিক রয়েছে। এমন অবস্থায় দপ্তরের দেওয়া কীটনাশককে ঘিরে এখন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে কৃষকদের মধ্যে।
স্থানীয় কৃষক গীরেন সাহা, গোপাল মাহাতরা বলেন, ব্লক কৃষিদপ্তরের দেওয়া ও তাদের পরামর্শ মত কীটনাশক জমিতে প্রয়োগ করে মাথায় হাত পড়েছে তাদের। সমস্ত গাছ শুকিয়ে মরে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে তারা কি করবেন তা ভাবতে পারছেন না। বন্যার পর এমন ক্ষতিতে তাদের পথে বসার জোগাড় হয়ে দাড়িয়েছে। তারা চান এর সঠিক ক্ষতিপূরণ।
হিলি ব্লক কৃষি আধিকারিক আকাশ সাহা জানিয়েছেন, এমন ঘটনার অভিযোগ তারা কৃষকদের কাছ থেকে পেয়েছেন। এলাকায় গিয়ে খতিয়ে দেখে তার একটি রিপোর্ট জেলাতে পাঠানো হবে। আর তারপরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।