ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ খোদ বালুরঘাট পুরসভার ক্যান্টিনে বিক্রি হওয়া একটি নামী কোম্পানির সিল প্যাক বোতলের জলে মশার লার্ভা মেলায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। জেলার বিভিন্ন জায়গায় গজিয়ে ওঠা জলের বোতল প্যাকেজিংয়ের কারখানাগুলি আদৌ কতটা বিধিসম্মতভাবে কাজ করছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
দেখা যাচ্ছে,৩০ থেকে ৫০ টাকার বিনিময়ে ২০ লিটার জারে করে জল বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ৪০টির ওপরে কারখানা থাকলেও ভারতীয় মান নির্ণায়ক সংস্থার (বিআইএস) সার্টিফিকেট নিয়ে জেলায় মাত্র পাঁচটি জলের কারখানা চলছে। বিআইএস সাটিফিকেট রয়েছে এমন কারখানাই শুধুমাত্র জল সরবরাহ করতে পারে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে জেলায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বাকি কারখানাগুলি কীভাবে ব্যবসা করছে তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
যদিও জেলা প্রশাসনের দাবি, বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে এখনও পর্যন্ত ১০টি জলের কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জেলাবাসীর দাবি, প্রশাসন নিয়মিত অভিযান চালালে সরকারি নির্দেশিকা না মেলে চলা কারখানাগুলি বন্ধ করে দিতে মালিকপক্ষ বাধ্য থাকবে।
জেলার প্রায় প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত সহ বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর শহর কিছু অসাধু ব্যবসায়ী শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স জোগাড় করে বাড়িতেই জল উত্তোলন করে জারে ভরে তা সিল করছে। তারা এই ব্যবসা করার জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড মানছে না। অসাধু ওই ব্যবসায়ীরা অধিক টাকা উপার্জনের জন্য পানীয় জল পরিশ্রুত করার নিয়মকানুনকে তোয়াক্কা না করে অপরিশ্রুত জল জারে ভর্তি করে বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করছে। জেলাবাসীর দাবি, প্রশাসন বেআইনি এই কারবারের বিরুদ্ধে বহু দিন ধরেই অভিযান চালাচ্ছে না। এই সুযোগে ব্যাঙের ছাতার মতো গ্রামেগঞ্জে জলের কারখানা গড়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষ অতকিছু না বুঝে বোতল ও জারবন্দি জল কিনে নিয়মিত প্রতারিত হচ্ছেন।