ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ভাষা শহীদ মিনারের স্থাপনার বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশের কলকাতার উপ-হাইকমিশনার দপ্তরের কাউন্সেলর -২ (রাজনীতি) বি এম জামাল হোসেনের কাছে লিখিত আবেদন পাঠালেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত একদল বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী। ছাত্রছাত্রীদের এই আবেদন গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে দ্রুত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এব্যাপারে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে উত্তর পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন বিএম জামাল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একটি শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য গত বছরের ৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে আবেদন জানান বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে পাঠরত বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রী। ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ অনার্সের ছাত্র জাহাঙ্গীর আলম জানান, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির স্মরণে ইতিমধ্যেই ভারতের কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা,আসাম, মেঘালয়, ঝাড়খণ্ড, হলদিয়া, চন্দননগর ও বনগাঁও সহ বিশ্বব্যাপী স্থাপন করা হয়েছে এই ভাষা শহীদের মিনার।
তাঁরা চান বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সুন্দর পরিবেশেও এই শহীদ মিনার স্থাপিত হোক।
বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের এই আবেদনকে গ্রহণ করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহা তাদের জানান, বিষয়টি নিয়ে এ রাজ্যের সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গেও আলোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। উপাচার্য জানান,যেহেতু বিষয়টি অন্য রাষ্ট্রের এক্তিয়ার ভুক্ত, সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এককভাবে শহীদ মিনার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আবেদন আসাকেই গুরুত্ব দেন তিনি । আর এরপরই সোমবার এই বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কলকাতার উপ-হাইকমিশনার দপ্তরের কাউন্সেলর বি এম জামাল হোসেনের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত আবেদন পাঠানো হল বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও ভাষা দিবসের শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য আবেদন জানালো বাংলাদেশের নাগরিক তথা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত বাংলাদেশী একাধিক
ছাত্রছাত্রী। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ অনার্সের ছাত্র জাহাঙ্গীর
আলম জানিয়েছেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত বাংলাদেশের ঐতিহাসিক
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শহীদ মিনার স্থাপিত
হয়েছে। তাঁরাও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি শহীদ মিনার
স্থাপনের জন্য গত ৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে আবেদন জানান।
ওই আবেদনেই জাহাঙ্গীর আলম সহ পিএইচডির ছাত্রী নন্দিতা মল্লিক, হরেকৃষ্ণ
মলয়, উত্পল রায়, নিবেদিতা রায়, বিবিএ-র ছাত্র রূপক ভট্টাচার্য, বিবিএ-র
ছাত্রী শাওন দেবনাথ ,বিএসসির ছাত্র মোহম্মদ মেহেদি কাউসার, এমবিএ-র
ছাত্রী তনিমা মোদক, এমবিএ-র ছাত্র সনজিত টিকাদার প্রমুখরা বর্ধমান
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে জানান, ভারতের কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা,
আসাম, মেঘালয়, ঝাড়খণ্ড, হলদিয়া, চন্দননগর ও বনগাঁও সহ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে
রয়েছে এই ভাষা শহিদের মিনার। তাই তাঁরাও চান বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়েও
সুন্দর পরিবেশে একটি শহিদ মিনার স্থাপিত হোক। জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন,
এব্যাপারে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাঁদের আবেদন যথাযথ
গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে যেহেতু এটি অন্য রাষ্ট্রের এক্তিয়ার ভুক্ত তাই
এব্যাপার সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আবেদন আসাকেই গুরুত্ব দেন। আর
এরপর সোমবার এই বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীরা বাংলাদেশের কলকাতার
উপ-হাইকমিশনার দপ্তরের কাউন্সেলর -২ (রাজনীতি) বি এম জামাল হোসেনের কাছে
লিখিত আবেদন পাঠিয়েছেন। জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টিকে অত্যন্ত
গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে দ্রুত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এব্যাপারে
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে উত্তর পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন
বিএম জামাল। অন্যদিকে, এব্যাপারে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই
সাহা জানিয়েছেন, তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের আবেদনের বিষয়টি রাজ্য সরকারকে
জানাচ্ছেন। সরকারের অনুমতি ছাড়া তো এটা হতে পারে না। ছাত্রছাত্রীদের
আবেদন যথাযথ। কিন্তু এটা দুটি দেশের ব্যাপার। স্পর্শকাতর বিষয়। দুটো
দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই যা হওয়ার হবে।