Headlines
Loading...
 সক্রিয় জাল ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি চক্র,নড়েচড়ে বসল জেলা খাদ্য দপ্তর

সক্রিয় জাল ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি চক্র,নড়েচড়ে বসল জেলা খাদ্য দপ্তর

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
জাল ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি চক্র নজরে এল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা খাদ্য দপ্তরে। ভুয়ো ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা দিয়ে রেশন কার্ডের জন্য ৩০ হাজার আবেদনপত্র বাতিল করেছে খাদ্য দপ্তর। দপ্তর সূত্রে খবর, কিছু অসাধু ব্যক্তি রেশন কার্ড তৈরির জন্য ভুয়ো নাম ঠিকানা দিয়ে আবেদন করেছে। বাস্তবে তাদের কোনও অস্তিত্ব নেই। কোথাও আবার কোনও ব্যক্তির ডিজিটাল রেশন কার্ড থাকলেও দ্বিতীয় বার তার নামে আবেদনপত্র জমা পড়েছে। ৩০ হাজার এরকম আবেদন জমা পড়তেই চক্ষু চড়কগাছ জেলার আধিকারিকদের। বিষয়টি নজরে আসতেই তাঁরা নড়েচড়ে বসেছেন। আবেদনপত্রগুলি বাতিল করে এই চক্রে কে বা কারা জড়িত তার তদন্তে নেমেছে জেলা খাদ্য দপ্তর।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার খাদ্য নিয়ামক অমরেন্দ্র রায় জানান, তাদের কাছে প্রায় ৩০ হাজার ভুয়ো আবেদনপত্র জমা পড়েছিল ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি করার জন্য। ওই আবেদনপত্রে অনেক ত্রুটি আমাদের নজরে আসে। কোথাও নাম ঠিকানা দেওয়া থাকলেও সেই নামে কোনও লোকই নেই, কোথাও আবার ডিজিটাল রেশন কার্ড পেলেও তার নামে দ্বিতীয় বার কার্ডের জন্য আবেদন জমা পড়েছে। তাদের প্রাথমিক অনুমান, ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরিতে এই সমস্ত আবেদনপত্র জমা করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা জুড়ে ১৬ লক্ষ রেশন গ্রাহকদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক লক্ষ গ্রাহক ডিজিটাল রেশন কার্ড হাতে পায়নি। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে অনেকের রেশন বন্ধ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জোরকদমে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু করেছে খাদ্য দপ্তর। এরমধ্যে ৩০ হাজার ভুয়ো নথি দিয়ে ডিজিটাল রেশন কার্ড হাতিয়ে নেওয়ার চক্র জেলাতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জেলা প্রশাসনের নজরে এসেছে। 
অনুমান, কিছু অসাধু ব্যক্তি একাধিক ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের রেশনের সামগ্রী নিয়ে তা খোলাবাজারে বিক্রি করার জন্য এমন কৌশল করেছে। তবে আবেদনগুলি জমা পড়ার পরে জেলা খাদ্য দপ্তরের নজরে আসে সেই আবেদনপত্রে কোথাও নাম ভুল থাকলেও ঠিকানা সঠিক রয়েছে। আবার কোথাও ভোটার কার্ডের সঙ্গে নামের কোনও মিল না থাকলেও  ঠিকানার মিল রয়েছে। এই অবস্থায় এত বিপুল সংখ্যক ভোটার কার্ড কীভাবে তাদের হাতে পৌঁছল তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তার তদন্তে নেমেছে দপ্তর।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});