ফোকাস বেঙ্গল ওয়েব ডেস্কঃ ভারতের ৪২ টি কথ্য ভাষা এখন ইউনেস্কোর বিপন্ন ভাষার তালিকায়। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের একটি ভাষাও। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও ভাষাগুলিকে বিলুপ্তপ্রায় আখ্যা দিয়েছে। যে যে ভাষাগুলি ভারত থেকে হারিয়ে যাবার মুখে, সেই ভাষাগুলিতে ১০ হাজারেরও কম মানুষ কথা বলে। এগুলির মধ্যে রয়েছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ১০টি ভাষা। এগুলো হলো গ্রেট আন্দামানিজ, জারোয়া, লুরো, মুয়োট, ওঙ্গে, পু, সানেন্যিও, সেন্টিলিজ, শম্পেন ও তাকাহান্যিলাং। এছাড়া রয়েছে মণিপুরের সাতটি ভাষা-আইমল, আকা, কইরেন, লামগ্যাং, লাংরোং, পুরুম ও তারাও।
তালিকায় রয়েছে হিমাচল প্রদেশের চারটি ভাষা বাঘাতি, হান্ডুরি, পাংভালি ও সিরমাউদি ,ওডিশার মানডা, পার্জি ও পেঙ্গো, কর্ণাটকের কোরাগা ও কুরুবা, অন্ধ্র প্রদেশের গাডাবা ও নাইকি, তামিলনাড়ুর টোটা ও টোডা, অরুণাচল প্রদেশের ম্রা ও না, অসমের টাইনোরা ও টাইরং, উত্তরাখন্ডের বঙ্গানি, ঝাড়খন্ডের বিরজোড়, মহারাষ্ট্রের নিহালি ও মেঘালয়ের রুগা। পশ্চিমবঙ্গের যে ভাষাটি হারিয়ে যাবার মুখে সেটি হল টোটো আদিবাসীদের ভাষা- টোটো।
ভারতীয় সংবিধানে তফসিলভুক্ত ২২টি জাতীয় ভাষা রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৩৫টি যুক্তিনির্ভর মাতৃভাষা এবং ২৩৪টি চিহ্নিত মাতৃভাষা। এছাড়াও আরও ৩১ টি আঞ্চলিক ভাষাকে কেন্দ্রের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্য সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশে এমন ১০০ টি নির্দিষ্ট ভাষা রয়েছে যেগুলিতে মাত্র এক লক্ষ মানুষ কথা বলে। সেগুলির মধ্যেই এই বিলুপ্তপ্রায় ৪২ টি ভাষা রয়েছে ,যে ভাষায় কথা বলা মানুষের সংখ্যা ১০ হাজারেরও কম।
দেশের এইসব বিলুপ্তপ্রায় ভাষাগুলিকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের মাইসোর কেন্দ্রীয় ভাষা চর্চা প্রতিষ্ঠান। একভাষিক বা দ্বিভাষিক অভিধান, পাঠ্যপুস্তক রচনা ও লোককাহিনি সংগ্রহ করার পাশাপাশি বিপন্ন ভাষার এনসাইক্লোপিডিয়া তৈরির মাধ্যমে বিপন্ন ভাষাগুলিকে রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।