ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান:বর্ধমানের বিসি রোডের ধরে খাঁ পাড়ার নবজীবন ক্লাব ১৯৬৯ সালে পথ চলা শুরু করলেও এবছরই প্রথম পালন করল প্রজাতন্ত্র দিবস। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে ক্লাবের সদস্যরাও জানাচ্ছেন এর আগে শুধু প্রজাতন্ত্র দিবসই নয়,পালন করা হয়নি দেশের স্বাধীনতা দিবস কিংবা কোনো মনীষীর জন্মদিনও। ২ অক্টবর থেকে ২৩ জানুয়ারি, গান্ধীজি থেকে নেতাজী কাউকেই স্মরণ করা হয়নি ক্লাবের পক্ষ থেকে। তবে এবছর সাড়ম্বরেই ক্লাবের সদস্যরা পালন করলেন দেশের ৬৯ তম সাধারণতন্ত্র দিবসটি। এদিন ক্লাব চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডা:উৎপল দা। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার তথা বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডা:অমিতাভ সাহা, এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর গণেশচন্দ্র গায়েন,বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়াবিদ নুরুল হুদা প্রমুখ। এছাড়া ছিলেন ক্লাবের সভাপতি আরজু চৌধুরী ,সম্পাদক আমজাদ আলি শেখ সহ ক্লাবের অন্যান্য সদস্য ও এলাকার বিশিষ্টরা।
উৎপল দা এদিন তাঁর বক্তব্যে বলেন,ভারতবাসীর কাছে প্রজাতন্ত্র দিবসের একটা আলাদা গুরুত্ব আছে। ১৯৫০ সালের এদিন থেকেই দেশের মানুষ এদেশে তাদের সমান অধিকার পেয়েছিলেন। আমাদের উচিৎ দেশের সকল মনীষীদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষের জন্য কাজ করা,যাতে মানুষ ভাল থাকে। তিনি বলেন ক্লাব হল একটা মিলন ক্ষেত্র। তাই পাড়ার বুকে ক্লাবের দরকার রয়েছে। উৎপলবাবু এদিন ক্লাবের সদস্যদের রক্তদান বা চক্ষুদানের মত কল্যাণজনক শিবিরের আয়োজন করার জন্য পরামর্শ দেন।
ক্লাব সম্পাদক আমজাদ আলি শেখ বলেন,এর আগে এই ক্লাবের পক্ষ থেকে কখনো ১৫আগস্ট,২৬জানুয়ারি কিম্বা মহাপুরুষদের জন্মদিন পালিত হয়নি। এলাকায় সুস্থ-সংস্কৃতির বাতাবরণ বজায় রাখতে এই উদ্যোগ।আগামী দিন দেশের মনীষীদের জন্ম-মৃত্যু দিবস পালনেও আমরা সচেষ্ট হব।তিনি বলেন সম্প্রতি রাজ্য যুব কল্যাণ দপ্তর থেকে ক্লাবের খেলাধুলার উন্নয়নে ২লক্ষ টাকা অনুদান পাওয়া গেছে। এলাকার ছাত্র-যুবদের খেলাধুলার প্রতি আরও বেশি আগ্রহী করে তুলতে এই অনুদান আমাদের সাহায্য করবে।