ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান:পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার ৬টি গ্রন্থাগারকে মডেল লাইব্রেরি হিসাবে গড়ে তোলার ব্যাপারে উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার বর্ধমানে গ্রন্থাগার নিয়ে প্রশাসনিক রিভিউ মিটিং -এ এই কথা জানিয়েছেন রাজ্যের গ্রন্থাগার দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার পিপলন, মানকর, কালনা, কাটোয়া এবং বর্ধমান শহরের একটি লাইব্রেরিকে মডেল লাইব্রেরিতে উন্নীত করা হবে বলে মন্ত্রী বলেন। এদিন উদয়চাঁদ জেলা গ্রন্থাগারে বৈঠকে হাজির ছিলেন দুজন অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং একজন মহকুমা শাসক সহ জেলা গ্রন্থাগার দপ্তরের আধিকারিকরা।
এদিন আলোচনায় উঠে এসেছে জেলার গ্রন্থরগুলির বর্তমান অব্যবস্থার কথা। জেলার ১২টি লাইব্রেরীতে টয়লেট নেই। ২টিতে বিদ্যুত নেই। বেশ কয়েকটি লাইব্রেরীতে পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। এই সমস্ত বিষয়গুলির দ্রুত সমাধানের জন্য প্রশাসনের আধিকারিকদের বলা হয়েছে। এছাড়াও মন্ত্রী এদিন রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলিতে কর্মীশূন্যতার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে বলেন,গোটা রাজ্য জুড়ে গ্রন্থাগারগুলিতে ধাপে ধাপে কর্মী নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ১৮৪জন কর্মী নিয়োগের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী সবুজ সংকেত দিয়েছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১০-১২জন রিটায়ার্ড ব্যক্তিরা এই সুযোগ পাবেন। এছাড়াও ৩১০ জন কর্মী নিয়োগ হবে। এব্যাপারে ৭ সদস্যের একটি কমিটিও তৈরী হয়েছে। উল্লেখ্য, অক্টোবর পর্যন্ত গোটা রাজ্যে ৫৭০০ কর্মী থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ৩১০০জন কর্মী। এর মধ্যে ২৮৪টি নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। গ্রন্থাগারগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি পাঠকদের বইমুখী করতেও এদিন মন্ত্রী বিশেষ জোর দেন। তিনি জানান,কলকাতার লালবাজার তথা কলকাতা পুলিশের অধীনে থাকা কয়েকশো বছরের পুরনো হাজার হাজার বইকে উদ্ধার করে তা সংরক্ষণ করা এবং পাঠকদের সামনে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিন মন্ত্রী জেলার আধিকারিকদের কাছে জেনে নেন বর্তমানে পাঠকদের মান ও সংখ্যা বাড়ছে কিনা, ৫২ টি গ্রন্থাগার সপ্তাহ ঠিক ভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, এদিন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বর্ধমান শহরের প্রতিবন্ধী স্বয়ম্ভর স্কুলের ৪০জন ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন।
ছবি - সুরজ প্রসাদ