দুটি ওয়ার্ডের সমর্থকদের একাংশ জানিয়েছেন, হাই ভোল্টেজ এই ফাইনাল ম্যাচের জন্য পুরসভা কোনো সতর্কতামূলক ব্যাবস্থাই কার্যতঃ করেনি। খেলা চলাকালীন মাঠের মধ্যেই, ফেন্সিং এর ভিতর প্রচুর দর্শক প্রথম থেকেই ঢুকে ছিল। ফলে খেলার মাঝে খেলোয়াড়দের মধ্যে ঝামেলা শুরু হতেই দর্শকেরা মাঠে ঢুকে পড়ায় সংঘর্ষ বেঁধে যায়। আর তাতে ইন্ধন যোগায় গ্যালারিতে থাকা সমর্থকেরা। তারাও নেমে এসে বিনা বাধায় সোজা মাঠে ঢুকে পরে।শুরু হয়ে যায় ব্যাপক গোলমাল।
পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে,বৃহস্পতিবার বর্ধমানের ৬ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে আন্তঃ ওয়ার্ড ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা ছিল। টানটান উত্তেজনায় খেলা শুরুর পর প্রথম অর্ধে ৬নম্বর ওয়ার্ডের খেলোয়াড় সুরজিৎ রায়ের একমাত্র গোলে এগিয়ে যায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই ২৬নম্বরের ছেলেরা গোল পরিশোধের জন্য ঝাঁপিয়ে পরে। ৬নম্বরের গোলমুখে আক্রমণের সময় ২৬ নম্বরের তুফান ক্ষেত্রপাল কড়া ট্যাকেলের মুখে গুরুতর চোট পায়।তার নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। অভিযোগ,এর পরও রেফারি খেলা চালিয়ে যান। এমনকি পেনাল্টি বক্সের মধ্যে চোট পেলেও ফাউল দেন না রেফারি মুক্ত ধাবক। আর এই ভুল সিদ্ধান্ত এবং দলের খেলোয়াড়ের গুরুতর চোটের প্রতিবাদে মারমূখী হয়ে ওঠে ২৬ নম্বরের খেলোয়াড় থেকে সমর্থকরা। মাঠের মধ্যেই রেফারিকে তারা মারধর করতে থাকে। তাকে বাঁচাতে পুরসভার কর্মী,কাউন্সিলার সহ সবাই ছুটে যান। উত্তেজিত মারমূখী সমর্থকদের হাত থেকে কোনো রকমে বাঁচিয়ে মুক্ত ধাবককে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। সমর্থকরা সেই সময় দাবি করতে থাকে পেনাল্টি দিতে হবে,নয়তো খেলা বাতিল হয়ে যাবে। এই সময় চিত্র সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে তাদেরকেও মারধর ও নিগৃহীত করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী মাঠে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
২৬নং ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল সভাপতি আমজাদ হোসেন জানান, রেফারির অপদার্থতার জন্য চুড়ান্ত পর্বের এই খেলা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে পুরসভার আরও দায়িত্বশীল হওয়া এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ছিল। অন্যদিকে, এদিন ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, ৩৫টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলারদের নিয়ে বৈঠকেই এই খেলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি জানান, এই ধরণের ঘটনা না ঘটলেই ভাল হত।
ছবি - সুরজ প্রসাদ