ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান:বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা ও রাণীগঞ্জ বাজারের ব্যাবসায়ীদের শহর থেকে দূরে বর্ধমান ১নং ব্লকের তথা কালনা রোডের ওপর অবস্থিত কিষাণ মাণ্ডিতে স্থানান্তরিত করার প্রশাসনিক চেষ্টা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়লো। কলকাতা হাইকোর্টে এই দুই বাজারের ব্যাবসায়ীদের দায়ের করা মামলায় এদিন ব্যাবসায়ীদের পক্ষেই রায়দান করলো হাইকোর্ট। বুধবার এই মামলার শুনানিতে বিচারক দেবাংশু বসাক নিজ নিজ মালিকানাধীন এবং ভাড়ায় থাকা এই দুই বাজারের সমস্ত ব্যবসায়ীদের যথারীতি ব্যবসা করার পক্ষেই রায় দেন। আর এই রায়দানের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বর্ধমানের তেঁতুলতলা ও রাণীগঞ্জ বাজার সহ অন্যান বাজারের ব্যাবসায়ীদের মধ্যে উচ্ছাস দেখা দেয়।
মামলাকারী পূর্ব বর্ধমান চেম্বার অব ট্রেডার্সের সম্পাদক চন্দ্র বিজয় যাদব জানিয়েছেন, হাইকোর্টের এই রায়ে তাদের প্রাথমিক জয় হল। কারণ তারা বারবারই প্রশাসনকে এই বিষয়টি বোঝাতে চেয়েছিলেন। তাঁরা পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে বৈধ কর দিয়েই নিজ নিজ জায়গায় বংশানুক্রমিকভাবে ব্যবসা করে আসছেন। এমনকি তাঁদের এই ব্যবসার জন্য শহরের যানজটেরও কোনো কারণ থাকে না। কারণ তাঁরা যে সময় ব্যবসা করেন সেই সময় শহরের মানুষ কার্যতই ঘুমিয়ে থাকে। রাত্রি ২টো থেকে সকাল ৭টার মধ্যেই তাঁদের সিংহভাগ পাইকারী ব্যবসার কাজ শেষ হয়ে যায়।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মোহন কুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান চেম্বার অব ট্রেডার্সের সম্পাদক চন্দ্র বিজয় যাদব এবং অন্যান্যরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জোর করে রাণীগঞ্জ বাজার ও তেঁতুলতলা বাজারের পাইকারী ব্যবসাদারদের কিষাণ মাণ্ডিতে স্থানান্তর করার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। এব্যাপারে বুধবার হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে বিচারক জানিয়েছেন, নিজ নিজ এলাকায় তথা মালিকানাধীন জায়গায় যাঁরা ব্যবসা করছেন, জনগণের
অসুবিধা না করে তাঁরা তাঁদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন। এব্যাপারে কারও কোনো হস্তক্ষেপ গ্রাহ্য হবে না। এদিকে, হাইকোর্টের এই রায় সম্পর্কে এদিন জেলা প্রশাসনের কোনো কর্তাই কিছু বলতে চাননি।কোর্টের রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পরই তাঁরা যা বলার বলবেন বলে জানিয়েছেন।