Headlines
Loading...
রাজ্য পুলিশ কর্তাদের পরিদর্শনের পরেও কমেনি জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা, আবারও মৃত্যু ৪ জনের

রাজ্য পুলিশ কর্তাদের পরিদর্শনের পরেও কমেনি জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা, আবারও মৃত্যু ৪ জনের


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গলসি:
দুর্ঘটনায় রাশ টানতে রাজ্য পুলিশের প্রতিনিধিদলের পরিদর্শনের পরেও একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে পূর্ব বর্ধমানের ২নম্বর জাতীয় সড়কে।গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত শুধু গলসির কাছেই জাতীয় সড়কের উপর পর পর তিনটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো এক নাবালক সহ চারজনের। 
শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ গলসি থানার কুরমুনা-চন্দন পুরের কাছে জাতীয় সড়কের ওপর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক ১৭ বছরের বালকের। শেখ রফিকুল নামে মৃত ওই নাবালকের বাড়ি গলসি থানার চকনলা গ্রামে। ঘটনার পরেই  ক্ষুব্ধ জনতা বেশ কয়েক ঘন্টা পথ অবরোধ করে। যদিও দুর্ঘটনার পর গলসি  থানায় আত্মসমর্পন করে বাস ড্রাইভার। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , বাস ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা চন্দন দাসের অভিযোগ , জাতীয় সড়ক প্রস্তুতকারী সংস্থা গামুডা এলাকায় আন্ডার পাস্ করে দেবার জন্য বার বার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ পর্যন্ত তা তারা করেননি। ফলে নিত্য দুর্ঘটনা এখানে লেগেই থাকে।  
অন্যদিকে ,শুক্রবার সকালে একটি পিক-আপ ভ্যানে করে ৪০ জন শ্রমিক বর্ধমানের কালনা রোডের ধারে মাটিতীর্থ কৃষি কথার মাঠে কাজ করতে আসার সময় বর্ধমানমুখী একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে পিক আপ ভ্যানটি জাতীয় সড়কের ধরে মাঠে উল্টে যায়। গুরুতর আহত ১৬ জনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক অমর  ক্ষেত্রপাল নাম এক শ্রমিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিনই  বিকালে হাসপাতালে মৃত্যু হয় শেখ হালু নাম অপর এক শ্রমিকের। মৃতদের বাড়ি কাঁকসা থানার সুলকুনি ও মিরেপাড়া  গ্রামে। 
অপর একটি ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে গলসি থানারই পুরষার কাছে জাতীয় সড়কের ওপর একটি অজানা গাড়ি  চাপা দেয় বেণু বীরবংশী নামে বছর পঁয়ত্রিশের এক ব্যক্তিকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই ব্যাক্তির  ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। 
গত ১০নভেম্বর জামালপুর থেকে গলসি পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার জাতীয় সড়কের অবস্থা খতিয়ে দেখে ছিলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি ট্রাফিক বিবেক সহায় এবং ডিআইজি ট্রাফিক দেবাশিস বড়াল সহ জেলা পুলিশের একাধিক কর্তারা। ঘন ঘন দুর্ঘটনায় রাশ টানতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করার ব্যাপারে নির্দেশও দিয়ে গিয়েছিলেন জেলা পুলিশের আধিকারিকদের।কিন্তু এরপরেও দুর্ঘটনা না কমায় রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করছে জাতীয় সড়কে যাতায়াতকারী মানুষজন।
                                                                                                                         ছবি - সুরজ প্রসাদ      
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});