ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,দুর্গাপুর:দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেট ভেঙে যাওয়ায় বড়সড় বিপদের আশঙ্কায় কাঁপছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল সহ সংলগ্ন এলাকা। একদিকে লাগামহীন জল তোড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় যেমন দামোদর তীরবর্তী রাঙামাটি,কেনেটি,পটাশপুর,করিমপুর,সুমিতিমানা,মুনইয়ের মতো গ্রামগুলির বাসিন্দারা চরম আশংকায় ভুগতে শুরু করেছে,অন্যদিকে জলাধার থেকে মজুত জল কমে যাওয়ায় আগামী ৭২ঘণ্টা দুর্গাপুরে পানীয় জলের প্রবল সংকট দেখা দিতে চলেছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন দুর্গাপুর পৌরনিগমের জলদপ্তরের এমাইসি পবিত্র চ্যাটার্জী।তিনি জানিয়েছেন,জলের লেবেল নিচে নেমে যাওয়ায় পাম্পগুলি জল তুলতে পারছে না। ফলে আগামী কয়েকদিন দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে পানীয় জলের সমস্যা তৈরী হতে পারে।
উল্লেখ্য,শুক্রুবার ভোর ৫টা নাগাদ জলের চাপে বেঁকে যায় দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর গেট চ্যানেল, ফলে বেঁকে যাওয়া লকগেট দিয়ে তোড়ে জল বেরিয়ে আসতে থাকে। আশঙ্কা জলের চাপে লকগেটের আরও ক্ষতি হতে পারে। লকগেটগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকঠাক না হওয়ায় লকগেটের বিভিন্ন যন্ত্রাংশে মরচে ধরে গিয়েছিল। ফলে এই বিপত্তি বলে জানা যাচ্ছে। লকগেট ভেঙে পড়ার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ব্যাপারে রাজ্যের তরফে তাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি, তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে এই আপাততঃ মাইথন থেকে জল ছাড়া বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
এদিকে শুক্রুবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জল নির্গমন বন্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি সেচ দপ্তর। প্রাথমিক ভাবে বালির বস্তা ফেলে ভাঙা লকগেটের দুদিকের যে অংশ দিয়ে জল বেরোচ্ছে সেটিকে আটকানোর চেষ্টা করেছেন ইঞ্জিনিয়াররা। যদিও জল নির্গমন বন্ধ হয়নি। সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে,জলাধারের জলস্তর কমে গেলে তখন নিচে নেমে মেরামতির কাজ শুরু করা যাবে।
বড়জোড়ার বিধায়ক সুজিত চৌধুরী জানিয়েছেন,দ্রুত লোকগেট মেরামতির ব্যবস্থা না করলে দুর্গাপুর সহ এলাকাগুলিতে বিভিন্ন সংকট দেখা দেবে।
বড়জোড়ার ব্লক ডেভিলপমেন্ট আধিকারিক পঙ্কজ আচার্য জানান,এখনো আতঙ্কিত হওয়ার মতো তেমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি,তবে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।