ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,নন্দীগ্রাম: বাড়ির মধ্যে একা পেয়ে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল নন্দীগ্রামে। অভিযোগ, ওই গৃহবধূকে বাড়ির খাটের মধ্যে হাত পা বেঁধে রেখে ধর্ষণ করা হয় এবং তারপর ঘরের মধ্যে থাকা নগদ টাকা ও সোনার গহণাও লুঠ করে নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় গৃহবধূ নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন দুই যুবক ও তাঁর সঙ্গীদের নামে নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নন্দীগ্রামের নাকচিরাচরের বাসিন্দা ২১ বছর বয়সী গৃহবধূর স্বামীর লিখিত অভিযোগে জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ যখন ওই ব্যক্তি বাড়িতে ছিলেন না। সেই সময় গৃহবধূ বাড়ির বাইরে এলে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর মুখে বেঁধে বাড়ির মধ্যে টেনে নিয়ে যায়। সেখানে খাটে মহিলার হাত-পা বেঁধে তাঁকে গণ ধর্ষণ করে। এই অত্যাচারে গৃহবধূ সংজ্ঞা হারালে দুষ্কৃতীরা বাড়ির মধ্যে থাকা টাকা ও সোনার গহনা লুঠ করে নিয়ে পালায়।
রাতে মহিলার স্বামী বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর স্ত্রী হাত পা বাঁধা অবস্থায় সঞ্জাহীন হয়ে পড়ে রয়েছেন। এরপর গৃহবধূকে উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মহিলার চেতনা ফিরে এলে গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এরপরেই গৃহবধূর বর্ণনার ভিত্তিতে স্থানীয় বাসিন্দা কার্ত্তিক জানা ও বাবলু দাস নামের দুই যুবকের বিরুদ্ধে বুধবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
তবে অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই একাধিকবার মহিলার বাড়িতে গিয়েও ঘটনার কোনও সূত্র পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। এই কারনে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের ওসি অজয় মিশ্র ঘটনাস্থলে তদন্তে গেলে গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা চলে যায়।