সুব্রত চক্রবর্তী,পোর্ট ব্লেয়ার: অবশেষে উদ্ধার করা হলো বিষ্ণু হরি মন্ডল এর মৃত দেহ। গত ১২ নভেম্বর ওয়ানডুর সমুদ্র সৈকতে বন্ধুদের সাথে স্নান করতে নেমে কুমীরের আক্রমণে সে প্রাণ হারায়। গভীর জলে টেনে নিয়ে যাওয়ার কারণে রবিবার দেহ উদ্ধার করা যায়নি। ঘটনার পর থেকে আন্দামান ও নিকোবর প্রশাসন এবং ফরেস্ট আধিকারিকরা যৌথভাবে তল্লাশি চালায়, অবশেষে দুই দিন পরে বিষ্ণু হরি মন্ডলের ক্ষত বিক্ষত মৃত দেহ উদ্ধার হয়।
অন্য দিকে মৃত ব্যক্তির বাড়ীতে খবর পৌঁছতেই গভীর শোকে ভেঙে পড়েছে গোটা পূর
পূর্ব মেদিনীপুরের মহম্মদপুর গ্রাম। মঙ্গলবার দেহটি ময়না তদন্তের পর দেহটি তুলে দেওয়া হয় পোর্টব্লেয়ারে তার আত্মীয়দের হাতে। দেহটি পূর্ব মেদিনীপুর ফিরিয়ে না এনে স্থানীয় জঙ্গলীঘাট শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করে পরিবারের লোকেরা।
আন্দামান ও নিকোবর প্রশাসন এবং ফরেস্ট আধিকারিকরা মৃতের পরিবারের সাথে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছে। বৃহস্পতিবার তাঁর পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর্থিক ক্ষতি হিসাবে ৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিক তথা ছৌলদারী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মোহন হালদার। যদিও এখনও পর্যন্ত ওয়ানডুর সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তার সার্থে সকালের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে।
কিন্তু বিষ্ণু হরি মন্ডলের মৃত্যু কিছু প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেলো।
সত্যিই কি প্রশাসনের উচিত ছিল না আরো একটু সতর্ক হওয়া? যাদের ওপর নির্ভর করে পর্যটকরা আসেন সমুদ্র সৈকতে সেই প্রশাসনই যদি নির্বিকার থাকে তবে কাদের ওপরে নির্ভর করবে সাধারণ মানুষ? পর্যটকরাই বা কাদের কাছে নিরাপত্তা চাইবেন? বলাই বাহুল্য প্রশাসন যদি সক্রিয় থাকতো হয়তো বেঁচে যেত এই তরতাজা প্রাণ।