
জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তরের আধিকারিক বামাপদ কুণ্ডু জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোরে ঝাড়খণ্ড থেকে ১ লক্ষ ৮ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার জন্য আউশগ্রামের ভেদিয়া সহ কয়েকটি জায়গায় জল ঢুকেছে।
অজয় বিপদসীমার কাছাকাছি এবং ভাগীরথী বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। তিনি জানান, এদিন সকাল থেকে বিশেষ করে ভাগীরথীর জল বাড়ায় আশপাশের নদীগুলিতে তার প্রভাব পড়েছে। ফলে কুনুর, খড়ি সহ কয়েকটি নদীতে জল নামতে পারছে না। যদিও এখনও এই ঘটনায় প্রাণহানির কোনো খবর মেলেনি। একইসঙ্গে কাটোয়া, কেতুগ্রাম এবং কালনায় ভাগীরথীতে ফেরিঘাট আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জলবন্দী এবং ফেরিঘাটে আটকে পড়া শিশুদের জন্য দুধ এবং অন্যান্যদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার ও পানীয় জল সরবরাহ করা হয়েছে। তবে এদিন বিকাল থেকেই অজয়ের জল নামতে শুরু করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
অপরদিকে, কুনুর ও খড়ি নদী প্লাবিত হওয়ায় গুসকরা পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়েছে। ভেদিয়া আণ্ডারপাসে এক কোমড় ভর্তি জল। বন্ধ বর্ধমান-বোলপুর পরিবহণ ব্যবস্থা। মঙ্গলকোটের সিলুট, বসন্তপুর রাস্তার ওপর দিয়ে জল যাওয়ায় সেখানেও পরিবহণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। জলমগ্ন বাবুরবাঁধ, রতনপুর,সুরুলি কলোনী এলাকা। জলমগ্ন হয়েছে ভাতারের বসতপুরও। এছাড়াও মন্তেশ্বরে খড়ি নদী প্লাবিত হয়ে বহু কৃষিজমি জলের তলায় চলে গেছে।
কার্যত আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট, ভাতার এবং মন্তেশ্বরে প্রচুর কৃষিজমির ফসল নষ্ট হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।



যদিও বামাপদবাবু জানিয়েছেন, এখনও ক্ষয়ক্ষতির কোনো রিপোর্ট তাদের কাছে আসেনি। এরই মাঝে আউশগ্রামের বাগরাইয়ে ত্রাণের জন্য বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধও হয়। বামাপদবাবু জানিয়েছেন , এদিনই সেখানে ১০হাজার প্যাকেট পানীয় জল এবং পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। তবে কোথাও ত্রাণ শিবির খুলতে হয়নি।
ছবি - আব্বাস ও সুরজ প্রসাদ
