পল্লব ঘোষ,কালনা:উৎসবের মরসুম শুরুর পর থেকেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অথবা রাজনৈতিক দল গুলির পক্ষ থেকে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠান প্রায় বন্ধ। ফলে রাজ্যের অনেক জেলা এবং মহকুমার ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে রক্তের যোগান কমতে শুরু করেছে। কালনা মহকুমা হাসপাতালে যেন কোনো অবস্থায় রক্ত সংকট না দেখা যায় সেই কারণে রবিবার সাদপুকুর রুকাশপুর গ্রামে রক্তদান শিবির করলেন স্থানীয় তৃণমূল জনসহায়তা কেন্দ্রের কর্মী ও সমর্থকরা। এই এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে চল্লিশ জন এদিন রক্তদান করেন।
উল্লেখ্য, দূর্গাপুজোর কিছুদিন আগে থেকে সেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো রক্তদান শিবির বন্ধ করে দেওয়ার কারণে আশপাশের ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলোতে রক্ত সংকট শুরু হয়। ফলে ওই সব এলাকা থেকে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে কালনা ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত নিতে আসছেন অনেকেই।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, পুজোর আগেই সিউড়ি হাসপাতাল থেকে দেড়শো বোতল রক্তের আবেদন আসে । সেখানে ৮৭ বোতল রক্ত দিতেও হয়েছে। এরপর এক এক করে কাটোয়া, শান্তিপুর,নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর থেকেও রক্ত চেয়ে কালনা হাসপাতালে আবেদন আসতে শুরু করে। ইদানীং ওই সব এলাকা থেকে রোগীর আত্মীয়রা সরাসরি এসে রক্ত নিয়ে যাচ্ছেন। কালনা হাসপাতাল ব্লাড ব্যাঙ্ক ইনচার্জ ডাক্তার পার্থ সারথি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আজকের রক্ত দান সত্যিই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মূহুর্তে কালনা হাসপাতালে সাড়ে চারশো বোতলের ওপরে রক্ত আছে। আগামী দিনেও বেশ কয়েকটা ক্যাম্প আছে। কলনাতে রক্ত সংকট হওয়ার মতন পরিস্থিতি নেই। তবে চাহিদার তুলনায় যোগানে যাতে ঘাটতি না পরে তার জন্য আরো বেশি রক্তদান শিবিরের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।


