সৌরীশ দে ও পল্লব ঘোষ,বর্ধমান :
মহাপুরুষদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হতে অনেককেই দেখতে পাওয়া যায়।এমনকি বিখ্যাত ব্যাক্তিদের আদর্শ কে পাথেয় করে জীবনের চলার পথও ঠিক করে নেয় অনেকে। সেই সব মহান ব্যাক্তিত্বদের নিয়ে পরবর্তীকালে তৈরিও হয় ইতিহাস। যা থেকে আমরা জানতে পারি তাঁদের জীবন আদর্শ।
কিন্তু এমন ঘটনা নজিরবিহীন।
আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের তো বটেই এমনকি ভারতবর্ষের অন্য কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর জীবদ্দশায় তাঁর আদর্শ,জীবন সংগ্রাম গবেষণার বিষয়বস্তু হয়েছে এমন বিষয় বিরল।
পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার হাতিপোঁতা গ্রামের বছর সাতাশের যুবক রেজাউল ইসলাম মোল্লা (রানা) মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর আদর্শ ছাত্র যুবদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।রেজাউল পশ্চিম মেদনীপুর জঙ্গলমহলের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বিভাগের ছাত্র। তার গবেষণার বিষয় 'ক্যারিশমেটিক কোয়ালিটি অফ উইমেন্স লীডারস ইন পিউপিল ম্যানেজমেন্ট। এ কেস স্টাডি অফ মাস্ট লিডার মমতা ব্যানার্জী।'
মহাপুরুষদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হতে অনেককেই দেখতে পাওয়া যায়।এমনকি বিখ্যাত ব্যাক্তিদের আদর্শ কে পাথেয় করে জীবনের চলার পথও ঠিক করে নেয় অনেকে। সেই সব মহান ব্যাক্তিত্বদের নিয়ে পরবর্তীকালে তৈরিও হয় ইতিহাস। যা থেকে আমরা জানতে পারি তাঁদের জীবন আদর্শ।
কিন্তু এমন ঘটনা নজিরবিহীন।
আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের তো বটেই এমনকি ভারতবর্ষের অন্য কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর জীবদ্দশায় তাঁর আদর্শ,জীবন সংগ্রাম গবেষণার বিষয়বস্তু হয়েছে এমন বিষয় বিরল।
পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার হাতিপোঁতা গ্রামের বছর সাতাশের যুবক রেজাউল ইসলাম মোল্লা (রানা) মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর আদর্শ ছাত্র যুবদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।রেজাউল পশ্চিম মেদনীপুর জঙ্গলমহলের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বিভাগের ছাত্র। তার গবেষণার বিষয় 'ক্যারিশমেটিক কোয়ালিটি অফ উইমেন্স লীডারস ইন পিউপিল ম্যানেজমেন্ট। এ কেস স্টাডি অফ মাস্ট লিডার মমতা ব্যানার্জী।'
কেন্দ্রীয় সরকারের ইউজিসি অনুমোদিত ফেলোশিপ প্রাপক এই ছাত্রের গবেষণার খবরে খোদ মমতা ব্যানার্জীও অবিভুত। ইতিমধ্যে গত ১২ জুলাই মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে রেজাউলের এই গবেষণা সংক্রান্ত বিষয়ে কথাও হয়েছে।
উল্লেখ্য, এমন একটি বিষয়ের ওপর গবেষণা হচ্ছে জেনে ইতিমধ্যেই বিশ্বের তিনটি নামি আন্তর্জাতিক পত্রিকা এই গবেষণা পত্র প্রকাশ করেছে।
রেজাউল জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের জুলাই মাস নাগাদ মমতা ব্যানার্জীকে নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তিনি। এর আগে দেশের কোনো মুখ্যমন্ত্রীকে গবেষণার বিষয় করে পড়াশুনা করেছেন এমন নজির তার জানা নেই বলেই জানিয়েছেন রানা।
কি কারণে মমতা ব্যানার্জী গবেষণার বিষয়বস্তু হলেন? আসুন জেনে নিই।
একজন অতি সাধারণ ঘরের মেয়ে থেকে দেশের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথ যে মমতা ব্যানার্জীর কাছে খুব সহজ বা মসৃন ছিল না সেই বিষয়টাই রেজাউলকে তার গবেষণার বিষয় করতে উদ্বুদ্ধ করে। রাজনীতিতে আসার পর থেকে নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে যেতে হয়েছে মমতা ব্যানার্জীকে।মানুষের প্রতি অন্যায়,অত্যাচারের বিরুদ্ধে বারবার রুখে দাঁড়াতে হয়েছে তাঁকে। ফলে বাম আমলে শাসকদলের হাতে নিগৃহিত হতে হয়েছে বহুবার।ধীরে ধীরে জনপ্রিয় নেত্রী উঠেছেন মমতা। বানতলা,ধানতলা,সিঙ্গুর,নন্দীগ্রাম আন্দোলন মমতা ব্যানার্জীকে জননেত্রী করে তোলে। এরপর ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হন মমতা ব্যানার্জী।
দেশের অন্যান রাজ্যের মহিলা নেত্রীদের জনপ্রিয়তার নিরিখে মমতা ব্যানার্জী যে অনেক এগিয়ে - কেন? তার জন্যই রেজাউলের গবেষণা।
দেশের একটা রাজ্যের আঞ্চলিক দল কি ভাবে সর্বভারতীয় পর্যায়ে উন্নীত হলো, সেটাও তার গবেষণার বিষয়। পাশাপাশি একজন লড়াকু নেত্রী থেকে জননেত্রী আর তারপর রাজ্যের শাসন ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছানোর ইতিবৃত্তই রেজাউলের গবেষণার রসদ।
রেজাউল জানিয়েছেন,আর মাত্র ৮মাস,শেষ হবে তার গবেষণার কাজ। ইচ্ছা আছে তারপর একবার মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করে কথা বলার।


