Headlines
Loading...
চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে,আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে গ্রাহক সহায়তা কেন্দ্রে ডাকাতি, ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পুলিশের জালে ২ দুষ্কৃতি

চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে,আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে গ্রাহক সহায়তা কেন্দ্রে ডাকাতি, ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পুলিশের জালে ২ দুষ্কৃতি


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গলসি: চোখে লংকার গুঁড়ো ছিটিয়ে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে এমনকি মুখের মধ্যে হাত ভরে দিয়ে লুঠ করার পরও শেষরক্ষা হল না দুষ্কৃতিদের। বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পুলিশের হাতে ৫জন দুষ্কৃতিদের মধ্যে ২জন ধরাও পড়ে গেল। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গলসির ২ নং জাতীয় সড়কের রাকোনা গ্রামের কাছে একটি মুদিখানা দোকানের ভিতর একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থার গ্রাহক সহায়তা কেন্দ্রে লুঠপাট চালায় ৫জনের একটি দুস্কৃতিদল। 


স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ৫জনের ওই দুস্কৃতি দল একটি স্করপিও গাড়ি নিয়ে ২ নং জাতীয় সড়কের দূর্গাপুর মুখে দাঁড়িয়ে ছিল। রাস্তার ওপর প্রান্তে পাঁচ জন জাতীয় সড়ক পেড়িয়ে যায়। সেখানে একটি হোটেলের সামনে থাকা মুদিখানা দোকানের সঙ্গে সংযুক্ত সি.এস.পিতে গিয়ে দোকান মালিককে মারধর করে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দোকানের মালিকের চোখে লংকার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়। একইসঙ্গে তিনি যাতে চিৎকার করতে না পারেন সেজন্য একজন দুষ্কৃতি তার মুখের মধ্যে হাতও ভরে রাখেন। 


এরপর নগদ প্রায় লক্ষাধিক টাকা, ৫টি মোবাইল নিয়ে তারা দুর্গাপুরের দিকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ দ্রুত অন্যান্য থানাকে সতর্ক করে দেয়। একইসঙ্গে লুঠ হওয়া ৫টি মোবাইলের মধ্যে একটি মোবাইলের লোকেশন থেকে পুলিশ জানতে পারে দুষ্কৃতি দলটি বীরভূমের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এরপরই বীরভূম জেলা পুলিশকে সতর্ক করা হয়। জানা গেছে, এরপরই দুবরাজপুর থানা রাস্তায় নাকা চেকিং শুরু করে। ১৪নং জাতীয় সড়কের গড়গড়া মোড়ে পুলিশ একটি স্করপিও গাড়িকে আটকায়। সেখান থেকেই দুই দুষ্কৃতিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম সদানন্দ যাদব এবং কুন্দন কুমার। এর মধ্যে সদানন্দ যাদবের বাড়ি আসানসোলের বেলেডাঙ্গাল এলাকায় এবং কুন্দন কুমারের বাড়ি বিহারের জামুই এলাকায়। 


ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ একটি ৭এমএম পিস্তল এবং ৬ রাউণ্ড গুলি এবং নগদ ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। বাকি দুষ্কৃতিদের সন্ধান পেতে গলসী থানার পুলিশ ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেবার আবেদন জানিয়েছে। জানা গেছে, গলসী থেকে অভিযান চালিয়ে কিছুদুর যাবার পর বাকিরা গাড়ি থেকে নেমে যায়। বাকি ৩জনের বাড়ি বিহারের ঝাঝা এলাকায় বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই গ্যাংটিই গলসীর সিএসপিতে ডাকাতি করেছে। কারণ গলসীর ওই সিএসপি মালিকের একটি ইলেকট্রিক বিলও দুষ্কৃতিদের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});