Headlines
Loading...
গলসি থানার বড়সড় সাফল্য, ডাকাতির ৭২ঘন্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার ডাকাতদল, উদ্ধার পাঁচ লক্ষ টাকার গহনা সহ টাকা

গলসি থানার বড়সড় সাফল্য, ডাকাতির ৭২ঘন্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার ডাকাতদল, উদ্ধার পাঁচ লক্ষ টাকার গহনা সহ টাকা


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গলসি: গলসির ভুঁড়িডাঙ্গায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ব্যাগ ভর্তি সোনা রুপোর গহনা ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত গোটা ডাকাতদলকে ধরে ফেললো গলসি থানার পুলিশ। মাত্র ৭২ঘন্টার মধ্যেই বিপুল পরিমাণ সোনা রুপোর গহনা ডাকাতির ঘটনার কিনারা করে অভিনব সাফল্য পেলো গলসি থানার পুলিশ। উল্লেখ্য গত বুধবার ডাকাতির ঘটনার ৪৮ঘন্টার মধ্যেই এক ডাকাত কে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। আর এরপর শনিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের সালার থেকে ডাকাতির ঘটনার মূল অভিযুক্ত আরো দুজন সহ যে ব্যক্তির সাহায্যে সেই সমস্ত গহনা বিক্রি করা হয়েছিল এবং যে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সেই সমস্ত চুরির গহনা কিনেছিল তাকেও গ্রেপ্তার করেছে গলসি পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডাকাতির ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হল। উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতি হওয়া প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা মূল্যের সমস্ত গহনা এবং ৩০হাজার টাকা।


প্রসঙ্গত ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছিল লক্ষীপুজোর দিন অর্থাৎ গত বুধবার রাতে গলসি থানার ইটারু গ্রামের রাস্তায় একটি ক্যানেলের বাঁধে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডাকাতির ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর শুত্রুবার এই ঘটনায় যুক্ত তিনজনের মধ্যে ইব্রাহিম মল্লিক ওরফে রিপন নামে এক ডাকাত কে গলসি থানার ছাল্লারপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিনই অভিযুক্তকে বর্ধমান আদালতে পাঠানো হলে অভিযুক্তকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।


অভিযোগকারী স্বর্ণ ব্যবসায়ী শওকত মোল্লা জানিয়েছিলেন, গলসির ভুঁড়িডাঙ্গা এলাকায় তাঁর একটি ছোট সোনা রুপোর দোকান রয়েছে। তাঁর বাড়ি ছাল্লারপুর গ্রামে। যেহেতু ছোট দোকান তাই দোকানের সোনা গহনা, টাকা ব্যাগে ভরে প্রায় প্রতিদিন দোকান বন্ধ করে বাড়ি নিয়ে চলে আসেন। গত বুধবার রাত ৭টা ২০মিনিট নাগাদ দোকান বন্ধ করে ভুঁড়িডাঙ্গা থেকে দোকান বন্ধ করে ছাল্লারপুরের উদ্দেশ্যে বাইকে রওনা হন। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর কাঁধে একটি কালো ব্যাগের ভিতর আরো চারটে লাল রঙের ছোট থলেতে দোকানের সমস্ত গহনা রাখা ছিল। তিনি অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁর ব্যাগে ১১গ্রাম ২৪ক্যারেট সোনা ও ১২টি সোনার নাকছাবি, ৪-৫জোড়া সোনার ঝোলা কানের দুল, দু জোড়া বড় সোনার কানের দুল, ৬টি সোনার বেবি আংটি, পুরোনো গহনা ভেঙে নতুন করার জন্য খদ্দেরদের দেওয়া বেশ কিছু সোনার গহনা সহ তিন কেজি রুপোর বিভিন্ন গহনা এবং একটি কালো প্লাস্টিকে ব্যবসার নগদ ৩০হাজার ৮০০টাকা ছিল।

শওকত মোল্লা অভিযোগে জানিয়েছিলেন, ছাল্লারপুর যাবার রাস্তায় ইটারুর কাছে একটি ক্যানেলের ব্রিজের উপর দুজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি একটি কালো রঙের পালসার- ১৫০ মোটর সাইকেল নিয়ে তাঁর বাইকের সামনে এসে আচমকাই দাঁড়িয়ে যায়। তিনি অভিযোগে জানিয়েছেন, এই সময় তিনি টাল সামলাতে না পেরে বাইক নিয়ে রাস্তায় পড়ে যান। এরপরই ওই দুই দুস্কৃতি তাঁর কাঁধের ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে, বাইকের চাবি নিয়ে এলাকা থেকে চম্পট দেয়। তিনি জানিয়েছেন, পূর্ণিমার রাত থাকায় এবং মোটর সাইকেলের হেড লাইট জ্বলতে থাকায় তিনি দুস্কৃতিদের মোটর সাইকেলের নম্বর দেখে নেন। 


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এরপর পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে বাইকের নম্বর ধরে ছাল্লারপুরেরই বাসিন্দা ইব্রাহিম মল্লিক কে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি সঙ্গীদের ব্যাপারে তথ্য পায় পুলিশ। আর এরপরই মুর্শিদাবাদের সালার থেকে ডাকাতির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গলসি থানার বড় দীঘির বাসিন্দা মহ: আলী শেখ ওরফে কচি(৪৩) এবং ভাতারের বামশোর এর বাসিন্দা জিয়ারুল শেখ ওরফে টুকাই(৩৪) কে গ্রেপ্তার করে। একইসাথে অভিযুক্তরা সালার থানার তালিবপুর, লেদুরিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রতন শেখ, যার সাহায্যে ডাকাতি করা গহনা বিক্রি করেছিল তাকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাশাপাশি তালিবপুর গ্রামেরই স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিপ্লব কর্মকার(২৯) যে এই সমস্ত চুরির গহনা কিনেছিল তাকেও গ্রেপ্তার করেছে গলসি থানার পুলিশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});