Headlines
Loading...
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআইটিকে বেসরকারীকরণের প্রতিবাদ সহ একগুচ্ছ কর্মসূচী নিয়ে জোরদার আন্দোলনে নামছে এসএফআই

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআইটিকে বেসরকারীকরণের প্রতিবাদ সহ একগুচ্ছ কর্মসূচী নিয়ে জোরদার আন্দোলনে নামছে এসএফআই


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: একগুচ্ছ কর্মসূচী নিয়ে এবার জোরদার আন্দোলনে নামতে চলেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এসএফআই-এর জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর এসএফআই-এর ৫০ বছর পূর্তি হতে চলেছে। এই উপলক্ষ্যে ওইদিন বর্ধমান ষ্টেশনে মিছিল এবং টাউন হলে প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। এরই পাশাপাশি বর্ধমান জেলায় বিভিন্ন স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়ায় সরকার নির্ধারিত ফি-র পরিবর্তে অনেক অধিক ফি নেওয়ায় সংকটে পড়েছেন পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা। তিনি জানিয়েছেন, যেখানে ভর্তি ফি সরকার নির্ধারিত ২৪০ টাকা সেখানে বর্ধমান শহরের একাধিক স্কুল ১২০০ টাকা করে নিচ্ছেন সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে।


 তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এসএফআই-এর পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতির জন্য কলেজ ও স্কুলে একবছরের জন্য ফি মুকুবের দাবী জানিয়েছেন তাঁরা। অনির্বাণ এদিন জানিয়েছেন, খোদ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী যখন বলেছেন সরকার নির্ধারিত ফি-র অতিরিক্ত কোনো বর্ধিত টাকা নেওয়া যাবে না, সেখানে কিভাবে ডোনেশানের নামে এই সমস্ত স্কুল গুলি অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন। তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে তাঁরা খুব শীঘ্রই জোরদার আন্দোলনে নামতে চলেছেন। তার আগে তাঁরা জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে দ্রুত এব্যাপারে হস্তক্ষেপ চাইবেন। 


অন্যদিকে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআইটি কলেজের ওপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায় ঝেড়ে ফেলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার থেকেই রাস্তায় নামছে এসএফআই। এদিন অনির্বাণ জানিয়েছেন, ইউনিভার্সিটি ইনষ্টিটিউট অফ টেকনোলজি তৈরীর সময় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল সেই চুক্তি মোতাবেক ইউআইটির আর্থিক দায়ভার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কেই বহন করতে হবে। কিন্তু দীর্ঘ ২১ বছর পর হঠাত করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত তুলে নেওয়ায় সংকটে পড়বেন পড়ুয়ারা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইউআইটির অধ‌্যক্ষ অভিজিত মিত্র বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি চিঠি দেন। সেই চিঠিতে তিনি জানান, ১৯৯৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসি বৈঠকেই ইউআইটি চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। ১৬ ডিসেম্বর লেখা ওই চিঠিতে অভিজিতবাবু জানান, ২০০০ সালে ইসি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ইউআইটির প্রতিটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সাহায্যেই সরকারী নিয়ম মেনে চলবে। এমনকি ২০১১ সালে ইউআইটির ৬টি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে স্বাধীন বিভাগ হিসাবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়। 


অভিজিতবাবু জানিয়েছেন, বর্তমানে ইউআইটিতে আর্থিক মন্দা চলছে। কিন্তু এমতবস্থায় ইউআইটির মান উন্নয়ন, পিএইচডি চালু করা প্রভৃতি বিষয়ে সাহায্য তো দূর অস্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইউআইটিকে নিজেদের কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলে দিতে একটি কমিটিও গঠন করেছে। আর এরপরই ইউআইটির ভবিষ্যত নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনির্বাণ জানিয়েছেন, এরফলে ইউআইটিকে বেসরকারীকরণের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যার পরিণতিতে ছাত্রছাত্রীদের ওপর আর্থিক চাপ বাড়বে। এই অবস্থায় এসএফআই ধারাবাহিকভাবেই বৃহস্পতিবার থেকেই প্রতিবাদ আন্দোলনে রাস্তায় নামছে। যদিও এদিন খোদ ইউআইটির অধ্যক্ষ অভিজিত মিত্র জানিয়েছেন, ওই চিঠি দেবার পর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর এখনও তাঁকে দেওয়া হয়নি। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো উত্তর মেলেনি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});