ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,খণ্ডঘোষ: রাজ্যের মধ্যে সম্ভবত এই প্রথম কোনো থানা করোনার প্রকোপে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেলো। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার ১৮ জন পুলিশ কর্মী একইসাথে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। সদর সাউথ এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, ১৮ জন থানার স্টাফ কভিড পজিটিভ হওয়ায় থানা সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করা হচ্ছে। পরিবর্তে পাশের একটি বিয়ে বাড়িতে অস্থায়ী থানা বানিয়ে কাজ চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরই পাশাপাশি পূর্বতন ওসি সঞ্জয় রায় কে বর্ধনান থানা থেকে নিয়ে এসে ফের খণ্ডঘোষ থানার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, সিআই সঞ্জয় কুন্ডু খণ্ডঘোষ থানা পরিচালনার ব্যাপারে ওসি সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন। উল্লেখ্য, যে ১৮জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে তাদের মধ্যে ৪জনের উপসর্গ রয়েছে। তাঁদেরকে চিকিৎসার জন্য কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের উপসর্গ নেই, এঁদের প্রত্যেককে হোম আইসলেসনে থাকতে বলা হয়েছে। থানার বাকি প্রায় ৪০জনের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এখনো করোনার জেরে রাজ্যের কোনো থানায় এই ধরণের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। একসঙ্গে এতোজন পুলিশ কর্মী করোনা পজিটিভ হওয়ায় পুলিশ মহলে রীতিমত আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি খণ্ডঘোষ এলাকায় এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কার্যত খণ্ডঘোষবাসী সাধারণ মানুষও থানায় তাঁদের অভিযোগ জানাতে যাওয়ার ব্যাপারে ধন্দে পড়েছেন।
উল্লেখ্য, এখনো করোনার জেরে রাজ্যের কোনো থানায় এই ধরণের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। একসঙ্গে এতোজন পুলিশ কর্মী করোনা পজিটিভ হওয়ায় পুলিশ মহলে রীতিমত আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি খণ্ডঘোষ এলাকায় এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কার্যত খণ্ডঘোষবাসী সাধারণ মানুষও থানায় তাঁদের অভিযোগ জানাতে যাওয়ার ব্যাপারে ধন্দে পড়েছেন।
এসডিপিও আমিনুল ইসলাম আরো জানিয়েছেন, সমগ্র খণ্ডঘোষ থানাকে স্যানিটাইজ করা হবে। জীবাণুমুক্ত করণের জন্য সমস্ত রকম প্রচেষ্টা জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে করা হবে। একইসাথে আক্রান্ত পুলিশদের সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, ভয় বা আতঙ্কের কোনো বিষয় নেই। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন দ্রুত সকলে সুস্থ হয়ে আবার কাজে যোগ দেবেন। তবে থানা পরিচালনার জন্য এই মুহূর্তে জেলার বিভিন্ন থানা থেকে পুলিশ কর্মীদের নিয়ে এসে থানার কাজ স্বাভাবিক রাখা হবে।