ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: একদিকে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আতংক, অন্যদিকে, করোনা রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফেরা - দুইই চলছে পূর্ব বর্ধমান জেলায় সমানতালে। আর সম্প্রতি যাঁরা করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ফিরছেন তাঁদের সম্বর্ধনা দেবার হিড়িক পড়েছে গোটা জেলা জুড়ে। করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ দেহে ফের কাজে যোগদান করতেই মঙ্গলবার মেমারী ২নং ব্লকের ১০০ দিনের প্রকল্পের কর্মী প্রণব কর্মকারকে সম্বর্ধনা দিল ব্লক প্রশাসন। এদিন প্রণব কর্মকারকে ফুলের স্তবক দিয়ে সম্বর্ধনা জানান মেমারী ২ এর বিডিও অনিন্দিতা রায় চৌধুরী। উল্লেখ্য, একদিকে যখন জেলাজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেই সময় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুস্থতার হারও।
সোমবারের দেওয়া জেলা প্রশাসনের শেষ রিপোর্ট অনুযায়ী এদিন পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৮৪জন। পাশাপাশি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪০১জন। এই সময়ের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৮জনের। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এদিন পর্যন্ত ছিল ৪৪৫জন। সুস্থতার হার ৭৪.৩৬শতাংশ। অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট অনুযায়ী এদিন অবধি মোট করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে উপসর্গহীন ব্যক্তি রয়েছেন ১৬২৫জন। পাশাপাশি উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীর সংখ্যা ২২৫জন। স্বাভাবিকভাবেই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সুস্থতার হারও যে ঊর্ধ্বমুখী সেই বিষয়ে মত প্রকাশ করছেন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকারিকগণ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতিও করোনায় আক্রান্ত হন। হোম কোয়ারেণ্টাইন কাটিয়ে তিনি ফের কাজে ফেরায় তাঁকেও সম্বর্ধনা জানানো হয়। এরই পাশাপাশি সোমবার বর্ধমান জেলা ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে রাণীগঞ্জ বাজারের এক বস্ত্র ব্যবসায়ী বীরেশ্বর করকে করোনা যোদ্ধা হিসাবে সম্বর্ধিত করা হয়। ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতির সম্পাদক বিশ্বেশ্বর চৌধুরী জানিয়েছেন, এই সম্বর্ধনার মধ্যে দিয়ে যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা নতুন করে লড়াই করার শক্তি পাবেন। যা তাঁকে সুস্থ হওয়ার পক্ষে আরও বেশি করে ঠেলে দেবে। পাশাপাশি যাঁরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তাঁরাও এই মারণ ভাইরাসকে পরাস্ত করে ফের সুস্থ জীবনে ফিরে আসার ক্ষমতা পাবেন।