Headlines
Loading...
বর্ধমানের নতুন রেলব্রীজ তৈরীর পর হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা, থমকে রাজ্যের নানান পরিকল্পনা

বর্ধমানের নতুন রেলব্রীজ তৈরীর পর হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা, থমকে রাজ্যের নানান পরিকল্পনা


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান ষ্টেশন সংলগ্ন নবনির্মিত রেলওয়ে ওভারব্রীজ এখনও হস্তান্তর না হওয়ায় তার মেরামতি সহ অন্যান্য কাজ থমকে রয়েছে। তাই দ্রুততার সঙ্গে এই ব্রীজ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ওপর এবার জোড় দিলো পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানিয়েছেন, গতবছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এই রেলওয়ে ওভারব্রীজ রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় উদ্বোধন করেন। যদিও ওই একইদিনে মেদিনীপুরের একটি অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই ব্রীজ উদ্বোধন করেন। 


সেইসময় কার্যত এই ওভারব্রীজ উদ্বোধন নিয়ে রেল দপ্তরের সঙ্গে রাজ্যের বিস্তর দড়ি টানাটানি হয়। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এই রেলব্রীজ নিয়ে যাতে কোনোভাবেই নিজেদের প্রচারে তুলে ধরতে না পারে সেজন্য ব্রীজ হস্তান্তরের আগেই তড়িঘড়ি উদ্বোধন পর্ব সেরে ফেলে রাজ্য সরকার। কিন্তু তারপর প্রায় একবছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনও এই ব্রীজ হস্তান্তর হয়নি। ফলে ব্রীজের নানাবিধ সংরক্ষণ থেকে ব্রীজকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসন যে গুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তাও বাস্তবায়িত করা যাচ্ছে না। জেলাশাসক জানিয়েছেন, এজন্যই চলতি আগষ্ট মাসের ৪ তারিখে গোটা রেলব্রীজকে নিয়ে একটি স্কেচ রেলদপ্তর সহ পূর্ত দপ্তরকে পাঠানো হয়েছে। কোনটি রেলের জায়গায়, কোনটি পূর্ত দপ্তরের জায়গা তার বিস্তারিত এই নকশায় উল্লেখ করা হয়েছে। 


প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এই নকশা তৈরীর সময় রেল দপ্তরের আধিকারিক , রেলব্রীজ নির্মাণকারী সংস্থার প্রতিনিধি সহ রাজ্য সরকার তথা জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও হাজির ছিলেন। জেলাশাসক জানিয়েছেন, তাঁরা আশা করছেন খুব শীঘ্রই এই ব্রীজ হস্তান্তরের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, এই ব্রীজকে ঘিরে বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। যার মধ্যে রয়েছে ব্রীজের নিচের অংশে বিভিন্ন স্টল, কার পার্কিং জোন প্রভৃতি তৈরী করার বিষয়টিও। উল্লেখ্য, জেলাশাসক জানিয়েছেন, পুরনো যে রেলব্রীজটি ছিল সেটিকে রেল দপ্তর বিপজ্জনক বলে ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করলেও ওই ব্রীজের ওপর দিয়ে দুচাকার যান এবং হেঁটে পারাপার করার জন্য বিকল্প আধুনিক ব্রীজ নির্মাণ করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেল দপ্তরের কাছে আবেদন করা হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে নিৰ্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা জেলাবাসীকে জানানো হবে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});