Headlines
Loading...
অবশেষে শনিবার পূর্ব বর্ধমানে করোনা পজিটিভ কেস শুন্য, ক্যামরিকেই কোভিড হাসপাতালের সবুজ সংকেত রাজ্যের

অবশেষে শনিবার পূর্ব বর্ধমানে করোনা পজিটিভ কেস শুন্য, ক্যামরিকেই কোভিড হাসপাতালের সবুজ সংকেত রাজ্যের


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: কোভিড-১৯ পজিটিভ কেসের গ্রাফ বিগত কিছুদিন উর্ধমুখী থাকার পর অবশেষে শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার একজনেরও করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসেনি। যদিও এদিনও ৩০০ জনের কাছাকাছি পরিযায়ী শ্রমিকের নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে। ফলে করোনা সংক্রমণের হার এই জেলায় এবার নিম্নমুখী হতে চলেছে বলে প্রশাসনের আশ্বাসবাণী শোনা গেছে। উল্লেখ্য, শনিবার রাত্রি ৮টা পর্যন্ত জেলায় মোট পজিটিভ কেসের সংখ্যা ছিল ১২৪। তারমধ্যে ১০১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখনও চিকিৎসাধীন ২৩জন।

এরই মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা হাসপাতাল হিসাবে ক্যামরি প্রি-কোভিড হাসপাতালকেই স্বীকৃতি দিল রাজ্য সরকার। শনিবারই এব্যাপারে রাজ্য সরকারের তরফে চুড়ান্ত সবুজ সংকেত এসেছে। আর তারপরেই জেলাপ্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা ক্যামরি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।  এদিন জেলামুখ্য স্বাস্থ্যধিকারিক ডা. প্রণব রায় জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদল এদিন চুড়ান্ত সবুজ সংকেত দিয়েছেন। আপাতত ১০০ বেডের পুর্ণাঙ্গ কোভিড হাসপাতাল চালু হচ্ছে ক্যামরীতে।

তিনি জনিয়েছেন, এদিন তাঁরা এই হাসপাতালের জন্য আর কিকি প্রয়োজন সে ব্যাপারে একটি রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন রাজ্য সরকারের কাছে। উল্লেখ্য, এই জেলার করোনা আক্রান্তদের এতদিন দুর্গাপুরের শনকা কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছিল। এর ফলে বেশ কিছু সমস্যাও সৃষ্টি হচ্ছিল। বর্ধমানের ক্যামরীকে কোভিড হাসপাতাল হিসাবে অনুমতি দেওয়ায় এই অসুবিধা দূর হবে। উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের শনকা কোভিড হাসপাতালের সিইও বোনাপার্ট চৌধুরী জানিয়েছেন, শুক্রবার পর্যন্ত দুর্গাপুরের এই শনকা হাসপাতালে মোট ১৯১ জনকে করোনা আক্রান্ত হিসাবে ভর্তি করা হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছেন বাঁকুড়া জেলার ২৪জন, পশ্চিম বর্ধমানের ৪২ জন, পূর্ব বর্ধমানের ৯৪জন, বীরভূম জেলার ৪জন, পুরুলিয়ার ১জন এবং বিষ্ণুপুরের ১জন।

তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত শনকা কোভিড হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। যদিও অন্য কারণে ২জনের মৃত্যু হয়েছে। বোনাপার্ট চৌধুরী  জানিয়েছেন, এই ১৯১ জনের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১৬৬জনকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন ২৬জন। তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। তিনি জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যের মধ্যে নজীর সৃষ্টি করেছেন এই শনকা হাসপাতাল। প্রতিদিন গড়ে ৬৫০জনের স্যাম্পেল টেষ্ট করা হয়েছে। যার মধ্যে করোনা পজিটিভের হার মাত্র ১.১৩ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ৭৯ জনের স্যাম্পেল টেষ্ট করা হয়েছে ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে।

প্রসঙ্গত তিনি জানিয়েছেন, কেবলমাত্র শুক্রবারই শনকা হাসপাতাল থেকে ২৭জন সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন। এদিকে, পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি মহকুমা তথা পূর্ব বর্ধমান জেলায় কালনা ও কাটোয়ায় একটি করে প্রি-কোভিড হাসপাতাল তৈরী করা হচ্ছে। শনিবারই কালনা হাসপাতালে তৈরী করা হয়েছে ১০০ বেডের প্রি-কোভিড হাসপাতাল। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এতদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার করোনা আক্রান্তদের দুর্গাপুর শনকা হাসপাতালে পাঠাতে হচ্ছিল। অনেক সময়ই রাতের দিকে আক্রান্তদের পজিটিভ হবার খবর আসার পর তাঁদের উদ্ধার করে দুর্গাপুর পাঠাতে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। 

এরই পাশাপাশি সমস্যা দেখা দিচ্ছিল স্যাম্পেল টেষ্ট নিয়েও। সম্প্রতি এই জেলায় যে হারে স্যাম্পেল টেষ্ট করা হচ্ছিল – তার রিপোর্ট আসতে অনেক দেরী হচ্ছিল। ফলে সবমিলিয়ে জেলাতেই করোনা হাসপাতাল তৈরীর জন্য দাবী জোরদার হতে শুরু করে। জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, ক্যামরীতে সমস্তরকম সুবিধাই রয়েছে। তাই ক্যামরীকেই কোভিড হাসপাতাল হিসাবে অনুমতি দেবার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});