Headlines
Loading...
করোনা ও আমফান পরিস্থিতিতেও রায়নায় মানুষের পাশে দেখা মেলেনি বিজেপির - নেপাল ঘরুই

করোনা ও আমফান পরিস্থিতিতেও রায়নায় মানুষের পাশে দেখা মেলেনি বিজেপির - নেপাল ঘরুই


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,রায়না: মহামারী করোনা পরিস্থিতির জন্য টানা লকডাউনেই হোক কিম্বা ভয়ংকর আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতেও - বিজেপি র কোনো নেতা কর্মীকে রাস্তায় অথবা মানুষের পাশে থাকতে দেখতে পাওয়া যায়নি। অথচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন দিনরাত এক করে দিনের পর দিন এই অতিমারী ও বিধ্বংসী ঝড়ের মোকাবিলা করে গেছেন, সাহায্য দিয়ে গেছেন - তখন বিজেপি নেতারা ঘরে বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো আর ভুল খবর ছড়িয়ে মানুষকে শুধু বিভ্রান্তই করেছেন। 

শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে করোনা ও আমফান পরবর্তী বিপর্যস্ত বাংলার পরিস্থিতি ও আশু কর্মসূচি নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না বিধাসভার বিধায়ক নেপাল ঘরুই এই ক্ষোভ উগরে দিলেন। তিনি বলেন, বিপদের সময় মানুষের পাশে থাকা তো দূর অস্ত বিজেপি নেতাদের এই সময় রায়না বিধানসভার ত্রিসীমানায় দেখা যায়নি। 

এদিন বিধায়কের বেলসর কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ছাড়াও রায়না ১ ও ২ ব্লকের সভাপতি যথাক্রমে শৈলেন্দ্র নাথ সাঁই ও আনসার আলী খান, দুটি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রত্না মহান্তি এবং পার্বতী ধারা মালিক, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ উত্তম সেনগুপ্ত সহ অন্যান্য নেতা কর্মীরা। বিধায়ক নেপাল ঘরুই বলেন, লকডাউনের পর থেকে রায়নার ২৩৪ টি গ্রাম এবং ২৮৬ টি বুথ এলাকার প্রায় ৮হাজার পরিবারের কাছে পঞ্চায়েত দপ্তর, বিডিও এবং জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি লকডাউনের মধ্যেই ঈদ উপলক্ষে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের লাচ্ছা, সীমাই সহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

বিধায়ক জানিয়েছেন, আমফানে এই এলাকায় ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি না হলেও ১৫টি অঞ্চলে ৮টি কাঁচা বাড়ির দেওয়াল ভেঙেছে, আংশিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২০০বাড়ির। বোরো ধানের তেমন ক্ষতি না হলেও তিল, শাক সবজি এবং পান চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসনিকভাবে ক্ষয় ক্ষতির হিসেব করে হচ্ছে। তারপরেই ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের চিহ্নিত করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। 
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});