Headlines
Loading...
পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমতেই কমতে শুরু করেছে কোয়ারেণ্টাইন সেণ্টারের সংখ্যা

পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমতেই কমতে শুরু করেছে কোয়ারেণ্টাইন সেণ্টারের সংখ্যা


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: পরিযায়ী শ্রমিকদের আসা কমতেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় কোয়ারেন্টাইন সেণ্টারের সংখ্যাও কমতে শুরু করল। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অরিন্দম নিয়োগী জানিয়েছেন, বর্তমানে গোটা জেলায় ৭৭৯টি কোয়ারেণ্টাইন সেণ্টার চালু রয়েছে। কিন্তু ধাপে ধাপে সেই সেণ্টারগুলি কমিয়ে আনা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, যেহেতু চলতি সময়ে পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই কমছে ফলে কোয়ারেণ্টাইনের প্রয়োজনীয়তাও ধীরে ধীরে কমছে।


মঙ্গলবার পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট ১২৭জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে সোমবার নতুন করে কাটোয়া ১এর একজন পরিযায়ী শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১১৪ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ১৩ জনের চিকিৎসা চলছে। তিনি জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহেই জেলার ৭৭৯টি কোয়ারেণ্টাইন সেণ্টারের মধ্যে প্রায় ৩০০ সেণ্টারকে তুলে নেওয়া হবে। এছাড়াও গোটা জেলায় আগামী ৩দিনের মধ্যে ২৬টি স্কুলকে মুক্ত করা হচ্ছে।


তিনি জানিয়েছেন, জেলার প্রতিটি ব্লক স্তরের টাস্ক ফোর্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি স্কুলকে উপযুক্তভাবে জীবাণু মুক্ত করার কাজ খতিয়ে দেখার জন্য। তারপরেও যদি প্রয়োজন হয় বা কোনো ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষের আবেদন আসে তাহলে সে ব্যাপারেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন অতিরিক্ত জেলাশাসক রজত নন্দা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমানে মোট ১৭২টি ট্রেন বর্ধমান ষ্টেশনে এসেছে। এই ট্রেনগুলি থেকে মোট ২৯ হাজার ৭৬০জন যাত্রী এবং পরিযায়ী শ্রমিক এসেছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন বর্ধমান ছাড়াও, নদীয়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পুরুলিয়া, হুগলী প্রভৃতি জেলার বাসিন্দারাও। 


তিনি জানিয়েছেন, এই যাত্রীদের মধ্যে কেবলমাত্র পূর্ব বর্ধমান জেলায় ফিরেছেন ১৯ হাজার ২২৭জন। রজত নন্দা জানিয়েছেন, প্রথম দিকে গড়ে প্রতিটি ট্রেন থেকে ১৬০০জন করে নামছিলেন। কিন্তু বর্তমানে গড়ে বর্ধমান ষ্টেশনে ১০টি করে ট্রেন ঢুকলেও তাতে আসছেন গড়ে ৬০০জন করে। ফলে বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের আসার সংখ্যা আগের থেকে তুলনামূলক ভাবে অনেক কমছে। স্বাভাবিকভাবেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও কমছে। আর সেজন্যই কোয়ারেণ্টাইন সেণ্টারের প্রয়োজনীয়তাও কমছে। তিনি জানিয়েছেন, কোয়ারেণ্টাইন সেণ্টার থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজের নিজের বাড়িতে হোম কোয়ারেণ্টাইন সেণ্টারে পাঠানো হচ্ছে। ফলে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই জেলার কোয়ারেণ্টাইন সেণ্টার দ্রুত কমতে চলেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});