Headlines
Loading...
যে কোনো মুহূর্তে পূর্ব বর্ধমানকে গ্রীন জোন ঘোষণা, তবু লাটে উঠছে লকডাউন

যে কোনো মুহূর্তে পূর্ব বর্ধমানকে গ্রীন জোন ঘোষণা, তবু লাটে উঠছে লকডাউন


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: যেকোনো মুহূর্তেই পূর্ব বর্ধমান জেলাকে গ্রীন জোন হিসাবে ঘোষণা করা হতে পারে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী সোমবার জানিয়ে দিলেন, গ্রীন জোন ঘোষণা কেবল সময়ের অপেক্ষা। তিনি জানিয়েছেন, যেহেতু নতুন করে কোনো সংক্রমণ এই জেলায় পাওয়া যায়নি, তাই সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সরকারকে জানানো হয়েছে। আর সেক্ষেত্রে যেকোনো মূহূর্তেই পূর্ব বর্ধমান কে গ্রীন জোন ঘোষণার সম্ভাবনা প্রবল।

এদিকে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে এখনও লকডাউন ওঠেনি। অরেঞ্জ জোন হিসাবে চিহ্নিত হওয়ায় লাগু রয়েছে সমস্ত বিধিনিষেধও। কিন্তু তারই মাঝে সোমবার সকালে রীতিমত লকডাউন কে লাটে তুলে রীতিমত কাতারে কাতারে মানুষ বেড়িয়ে এলেন রাস্তায়। যেন পুরনো ছন্দে ফিরে গেছে বর্ধমান শহরের বিসিরোড থেকে খোসবাগান এলাকা। কার্যত জনস্রোত নেমে এল সোমবার সকালে। আচমকা রাস্তায় এভাবে ভিড় উপচে পড়ায় রীতিমত বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে শহর জুড়ে। 

প্রশাসনের নজরদারী নিয়ে শুরু হয়েছে প্রশ্ন। রাস্তায় দেখা মেলেনি পুলিশ কিংবা টাস্ক ফোর্সেরও। উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমান জেলায় খণ্ডঘোষের বাদুলিয়া গ্রামের একই পরিবারের কাকা ও ভাইঝির করোনা পজিটিভ কেস পাবার পরই পূর্ব বর্ধমান জেলাকে অরেঞ্জ জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। যদিও ওই দুইজনের পরবর্তী রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর তাঁরা সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে গেছেন। এমনকি তাঁদের সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদেরও পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ফলে নতুন করে জেলায় কোনো করোনা পজিটিভ কেস না মেলায় একপ্রকার স্বস্তিতে রয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তা থেকে সাধারণ মানুষও।

তবু এই পরিস্থিতিতেও সম্পূর্ণভাবে লাগু রয়েছে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত সরকারি বিধি নিষেধ। বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। একান্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় বের হলেই আটকাচ্ছে পুলিশও। এমতবস্থায় সোমবার সকাল থেকে রাস্তায় ভিড় উপচে পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও এব্যাপারে জেলাশাসক বিজয়ভারতী এবং জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় উভয়েই জানিয়েছেন, তাঁরা সবটাই নজরে রাখছেন। 

জেলাশাসক জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় গত ১৪ দিনে আর কোনো সংক্রমণের ঘটনা না ঘটায় ক্রমেই অরেঞ্জ জোন থেকে গ্রীণ জোনে যাচ্ছে গোটা জেলা। ফলে সেক্ষেত্রে জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে আস্তে আস্তে। তবুও এদিন যাঁরা রাস্তায় বেড়িয়েছেন তাঁরা কেউ বাজারে, কেউ ওষুধ কিনতে আবার কেউ ডাক্তার দেখাতে খোসবাগান এলাকায় যাতায়াত করছেন। তিনি জানিয়েছেন, সোমবার থেকেই খোসবাগানে কিছু ডাক্তার চেম্বার খুলেছেন। এব্যাপারেও তাঁরা সতর্ক নজরদারী চালাচ্ছেন। আর ডাক্তারবাবুরা চেম্বার খোলায় খোসবাগান এলাকায় ভিড় হচ্ছে। 

এদিকে, এরই পাশাপাশি জেলাশাসক জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রায় অর্ধেক মদের দোকান খুলছে। তবে সেক্ষেত্রে অন্যান্য দোকান বাজারের মতই তাঁদের সামাজিক দূরত্ব মেনে বা বিধি মেনেই দোকান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, রেশন নিয়ে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত অভিযোগ এসেছিল। তাই প্রতিটি থানাতেই প্রয়োজনভিত্তিক ৪ থেকে ৫টি করে ফ্লাইং স্কোয়ার্ড করা হয়েছে। 

তাঁরা সবসময় নজরে রাখছেন এবং প্রয়োজনবোধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। জেলাশাসক এদিন জানিয়েছেন, যেহেতু পূর্ব বর্ধমান জেলা অরেঞ্জ জোন থেকে গ্রীন জোনে যাবার পথে তাই ধান কাটার কাজে গ্রীন জোন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া প্রভৃতি এলাকা থেকে শ্রমিক আসার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। এব্যাপারে সরকারের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। 
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});