Headlines
Loading...
করোনা কে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন বর্ধমানের খন্ডঘোষের কাকা ভাইঝি, স্বস্তির নিঃশ্বাস জেলা প্রশাসনের

করোনা কে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন বর্ধমানের খন্ডঘোষের কাকা ভাইঝি, স্বস্তির নিঃশ্বাস জেলা প্রশাসনের


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: মারণ ভাইরাস করোনা কে পরাস্ত করে সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষের বাদুলিয়ার একই পরিবারের দুই সদস্য। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, সুস্থ হলেও আগামী ১৪দিন তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। পাাশাপাশি, খণ্ডঘোষ ব্লকের যে ৭৪ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েেছিলো, তাদেরও মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাঁদেকেও বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশি নিরাপত্তায় এদিনই নিজের নিজের বাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করল প্রশাসন। 

উল্লেখ্য, নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসায় চলতি মাসের ১৯ তারিখ দুর্গাপুরের কোভিড হাসপাতালে ভরতি করা হয় খন্ডঘোষের বাদুলিয়ার এক ব্যক্তিকে। এরপর ওই একই পরিবারের ন'বছরের এক বালিকার শরীরেও করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তাকেও দুর্গাপুরের শনকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সম্পর্কে এঁরা দুজন কাকা ভাইঝি। চিকিত্‍সকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে করোনা যুদ্ধে জয়ী হয় ওই ব্যক্তি সহ নাবালিকাও। শেষ দু'বারেই নেগেটিভ আসে তাঁদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট। এরপরই একসঙ্গে দুজনকেই বাড়ি ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেন চিকিত্‍সকরা। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয়।

এদিন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানিয়েছেন, এই জেলার দুজনের নমুনা পরীক্ষায় প্রথম পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল। পরে দ্বিতীয় পরীক্ষায় দুজনেরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় চিকিৎসক তাদের সুস্থ ঘোষণা করেছেন। এদিন হাসপাতাল থেকে ছুটিও দেওয়া হয়েছে দুজনকেই। জেলাশাসক জানিয়েছেন, এটা ভাল খবর যে গোটা জেলায় এখন আর কোনো পজিটিভ কেস নেই। 

তবে জেলা জুড়েই নজরদারী অব্যাহত থাকছে। একইসঙ্গে ওই কাকা ও ভাইঝিকে এখন রাখা হবে হোম কোয়ারেণ্টিনে। কারও সঙ্গে তাদের মেলামেশা চলবে না। পাশাপাশি, এখনই ওই গ্রামের কনটেনমেণ্ট উঠছে না। কোভিড ১৯ এর গাইডলাইন অনুযায়ী প্রত্যেকের নির্দিষ্ট দিন পার করা এবং সুস্থ হবার পরই কনটেনমেণ্ট তোলা হবে খন্ডঘোষের এই এলাকার। জেলাশাসক জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে ওই কাকা ও ভাইঝির নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন ব্লক মেডিকেল অফিসারেরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});