Headlines
Loading...
রাখে হরি তো মারে কে - হাতে নাতে সেটাই ঘটলো বর্ধমান ষ্টেশনে

রাখে হরি তো মারে কে - হাতে নাতে সেটাই ঘটলো বর্ধমান ষ্টেশনে


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: রাখে হরি তো মারে কে! বাংলার প্রবাদ এই বাক্যটিই শনিবার রাতে বর্ধমান ষ্টেশনের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করার হাত থেকে রক্ষা করল। কথায় আছে ঈশ্বর নিজে নন, সাধারণ মানুষের মধ্যে দিয়েই কাজ করিয়ে নেন। কার্যত শনিবার সেই ঘটনাই ঘটল পূর্ব রেলের ডিআরএম ইশাক খানকে নিয়ে। 

উল্লেখ‌্য, বেশ কিছুদিন ধরেই বর্ধমান ষ্টেশনকে সাজিয়ে তোলা তথা সৌন্দর্য্যায়নের কাজ চলছিল। এজন্য রেলের এই পূরনো ভবনের জায়গায় জায়গায় মেরামতির কাজও চলছিল। ঠিকাদাররা রীতিমত বড় মাপের হাতুড়ি দিয়ে পুরনো নির্মাণের কিছু অংশ ভেঙে সেখানে নতুন করে কাজ করছিলেন। এই কাজে ব্যবহার করা হয় ভাইব্রেটর মেশিনও। শনিবার সেই কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতেই বর্ধমান ষ্টেশনে আসেন ইশাক খান। এদিন তিনি সকাল প্রায় সাড়ে নটা থেকে বিকাল পর্যন্ত বর্ধমান ষ্টেশনেই কাটিয়ে যান। 

আর ডিআরএম আসার জন্য গোটা বর্ধমান ষ্টেশন চত্বরকেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। বর্ধমান ষ্টেশনের মূল প্রবেশদ্বার ১নং গেটের গাড়ি বারান্দা সংলগ্ন এই এলাকাতেই প্রতিদিন বহু মানুষ তথা ভবঘুরে রাত কাটান। অনেকেই দূরপাল্লার ট্রেন ধরার জন্য এই গাড়ি বারান্দা সংলগ্ন অনুসন্ধান কাউণ্টারের সামনেই অপেক্ষাও করেন। এরই পাশাপাশি গাড়ি বারান্দার যে দিকে এই দোতলার অংশ ভেঙে পড়েছে সেখানেই বসেন কাগজ বিক্রেতারাও। প্রতিদিনই বহু মানুষ সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এই সমস্ত পত্রপত্রিকা বিক্রেতাদের কাছে আসা যাওয়া করেন। ডিআরএম আসার জন্য সেই কাগজ বিক্রেতাদেরও এদিন সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। 

তার ওপর গত কয়েকদিন ধরেই মেঘলা আকাশ এবং মাঝে মাঝেই হাল্কা বৃষ্টির জন্য অনেকেই বাড়ি থেকে বের হননি। রেল কর্মীরা জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনা যদি সোম থেকে শুক্রবারের মধ্যে হত – তাহলে আরও বড়সড় বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা ছিল। ফলত, ডিআরএম আসার জন্য শনিবার গোটা এলাকাই ছিল কার্যত ফাঁকা। উল্লেখ্য, শনিবার বিকালে ডিআরএম ফিরে গেলেও এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফের তিনি ফিরে আসেন। দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধার কাজের তদারকিও করেন।

তিনি জানিয়ে যান, কিভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে তদন্ত হবে। একইসঙ্গে গোটা ভবনটিই ভেঙে সেখানে নতুন নির্মাণ করা হবে। উল্লেখ্য, বর্ধমান জংশনের এই ভবনের ওপর দিয়েই ফ্রেট করিডর লাইন যাবার কথা রয়েছে পূর্ব রেলের। যা নিয়ে গত ২ বছর ধরেই কাজ চলছে। বর্তমান রেলের এই ভবনকে সামনের দিকে আরও এগিয়ে নিয়ে আসার কথাও ছিল। কিন্তু তার আগেই এই ভবন ভেঙে পড়ায় রীতিমত চাপান উতোর শুরু হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});