ফোকাস বেঙ্গল ওয়েব ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো সোমবারও যথারীতি স্কুলে গিয়েছিলেন নিমো মহেশডাঙ্গা ক্যাম্প প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক গলসির বাসিন্দা অমিত রায়। সকাল ৮টা ৪৬ এর লোকাল ট্রেনে নিমো স্টেশনে নেমে সাইকেল স্ট্যান্ড থেকে সাইকেল নিয়ে গ্রামের রাস্তা ধরে স্কুলের পথে যাত্রা শুরু করেন তিনি। কিছুদূর যাওয়ার পর সাইকেলের বেল বাজাতে গিয়ে অমিত বাবু লক্ষ্য করেন বেল বাজছে না। কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই বেল বাজছে না ভেবে দ্বিতীয়বার আর তিনি চেষ্টা না করে সরাসরি স্কুলে পৌঁছে যান।
অমিত বাবু জানিয়েছেন, এরপর বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ স্কুল ছুটি হয়ে গেলে অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে তিনিও স্কুলের সাইকেল স্ট্যান্ড থেকে সাইকেল নিয়ে ফের স্টেশনের দিকে রওনা হন ট্রেন ধরবার জন্য। আর এরপরেই এক লোমহর্ষক ঘটনায় রীতিমত স্তম্ভিত ও আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন অমিত রায়।
কি ঘটেছিলো তার বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, কিভাবে প্রাণ হাতে নিয়ে সারা একটা দিন কেটে গেল তাঁর এই ভেবে তিনি চূড়ান্ত আতংকগ্রন্থ হয়ে পড়েছেন। জীবনে এই ধরণের ভয়ংকর ঘটনারও মুখোমুখি হতে হয় মানুষকে সেটা আজই তিনি প্রত্যক্ষ করলেন। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে অমিত বাবু জানিয়েছেন, অন্যান্য দিনের মতো এদিনও বর্ধমান থেকে ট্রেনে নিমো স্টেশনে নেমে স্কুল যাবার জন্য সাইকেল স্ট্যান্ড থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। কিছুটা পথ যাওয়ার পর তিনি লক্ষ্য করেন বেল বাজছে না। এরপর তিনি স্কুলে চলে যান।
স্কুল ছুটির পর ফের সাইকেল নিয়ে তিনি স্টেশনের দিকে রওনা হন। কিন্তু সাইকেলের বেল বাজাতেই হটাৎ তিনি লক্ষ্য করেন, কিছু একটা বেলের ভিতর থেকে মুখ বাড়িয়ে আবার ভিতরে ঢুকে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সাইকেল থামিয়ে সহকর্মীদের বিষয়টি জানাতে তারাই কলিং বেলের ওপরের স্ক্রু আলগা করতেই বেলের ভিতর থেকে ঝুলে পড়ে একটি বিষধর চাল চিতি সাপ। আর এই দৃশ্য দেখে রক্ত হিম হয়ে যাবার জোগাড় হয় শিক্ষক অমিত বাবুর।
অমিত বাবু জানিয়েছেন, সকালে স্টেশন থেকে স্কুল পর্যন্ত ওই সাইকেল চালিয়েই তিনি এসেছেন। সাইকেলের কলিং বেল থেকে হ্যান্ডেলের দূরত্ব খুবই সামান্য। সেই হ্যান্ডেল ধরেই এতটা রাস্তা তিনি এসেছেন। এরপর আবার ফেরার সময়ও স্কুল থেকে বেশ কিছুটা রাস্তা একইভাবে পেরিয়ে এসেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এরমধ্যে বড়সড় কোনো বিপদ ঘটে যায়নি সেটাই আশ্চর্য্যের। আর এই ভেবেই হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাবার জোগাড় হয়েছে অমিত বাবুর। যদিও সাপটির কোনো ক্ষতি না করেই তাকে রাস্তার পাশে জমিতে চলে যেতে সাহায্য করেছেন শিক্ষক অমিত বাবু সহ তাঁর সহকর্মীরা।