Headlines
Loading...
বোরোর জল নিয়ে বর্ধমানে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ডিভিশনাল কমিশনার

বোরোর জল নিয়ে বর্ধমানে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ডিভিশনাল কমিশনার


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: আসন্ন বোরো চাষে বর্ধমান ডিভিশন রেঞ্জের অধীন দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, হুগলী ও হাওড়া জেলায় দামোদর তীরবর্তী এলাকায় সেচের জল দেওয়া নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হল পুর্ব বর্ধমান সার্কিট হাউসে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান রেঞ্জের ডিভিশনাল কমিশনার মহম্মদ গোলাম আলি আনসারী সহ ৫ জেলার উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিক, রাজ্য সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার সহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং পুর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও।

আসন্ন বোরো মরশুমে ডিভিসির সেচ সেবিত এলাকায় কিভাবে জল দেওয়া হবে, দেওয়া হলে কতটা দেওয়া হবে, কবে থেকে দেওয়া হবে প্রভৃতি বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই প্রতিবছরের মতই এই বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ডিভিশনাল কমিশনার জানিয়েছেন, এদিনের বৈঠকে এই ৫ জেলার কোথায়, কত বোরো এবং রবি চাষে জলের প্রয়োজন এবং জলাধারে কি পরিমাণ জল রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে রবি চাষের জন্য এবং আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে বোরো চাষের জন্য জল দেওয়া হবে। কোন্ জেলায় কি পরিমাণ জলের প্রয়োজন এবং জেলাগতভাবে কোন ক্যানেল দিয়ে কতপরিমাণ জল ছাড়া হবে এব্যাপারে আগামী ১৯ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসনগুলিকে বৈঠক করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আসন্ন বোরো চাষে পূর্ব বর্ধমান জেলার বেশ কিছু ব্লকের পাশাপাশি গলসী ২ ব্লকের কুরকুবা অঞ্চলের চাষীরা বোরো চাষে এলাকার প্রায় ৫ হাজার বিঘা জমিতে সেচের জলের দাবীতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ সমস্ত স্তরে আবেদন জানিয়েছেন। সোমবার কুরকুবা অঞ্চলের বাহিরঘন্যা গ্রামের চাষী সফর মল্লিক জানিয়েছেন, গলসীর এই অঞ্চলের চাষীরা একমাত্র ডিভিসির সেচ ক্যানেলের ওপরই নির্ভরশীল। তাই জল না পেলে তাঁরা চরম সমস্যায় পড়বেন। কারণ ডিভিসি ছাড়া এই অঞ্চলে কোনো বিকল্প সেচের জলের ব্যবস্থা এখনও গড়ে ওঠেনি। যদিও এদিন জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানিয়েছেন, আগামী ১৯ ডিসেম্বর জেলা স্তরের বৈঠকের পরই জেলায় সেচের জল সরবরাহের বিষয়টি চুড়ান্ত হবে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});