ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে বর্ধমানের মাটি তীর্থ কৃষি কথা প্রাঙ্গণে সপ্তম রাজ্যস্তরের মাটি উৎসব উদ্বোধন করতে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সোমবারই নবান্ন থেকে এব্যাপারে সবুজ সংকেত মেলার পর শুরু হয়ে গেল মাটি উৎসবের তৎপরতা। ইতিমধ্যে নবান্ন থেকে সবুজ সংকেত মেলার পর বিশেষত পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদে একপ্রস্থ আলোচনাও হয়ে গেল।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারী মাসে মুখ্যমন্ত্রী আসবেন এই মেলার উদ্বোধন করতে। জানা গেছে, এবারের মাটি
উৎসবের জন্য প্রায় ১ কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। অন্যান্যবারের মতই মাটি উৎসবকে ঘিরে থাকছে একাধিক কর্মসূচী।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই উৎসব প্রাঙ্গণ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী একাধিক প্রকল্পের সূচনা তথা শিলান্যাস করবেন। এরই পাশাপাশি গোটা জেলার বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন তিনি। মনে করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়েই কল্যাণী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ধিত অংশ জেলা কৃষি খামারে অনুষ্ঠিত কৃষি কলেজের নতুন ভবনের উদ্বোধনও হবে। ইতিমধ্যেই ওই কলেজের ভবন নির্মাণের কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে।
জানা গেছে, ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলা বীজ খামারের মধ্যে অবস্থিত এই মাটি তীর্থ কৃষি কথার প্রাঙ্গণে মাটি উৎসবের উদ্বোধন করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী এই কলেজেরও উদ্বোধন করবেন। তাই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর আসার বিষয়টি সবুজ সংকেত মেলার পর কৃষি কলেজের কাজও দ্রুত শেষ করার জন্য তৎপরতা শুরু হয়ে গেল। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু জানিয়েছেন, এবার মাটি উৎসবে রাজ্যস্তরের অনুষ্ঠান হবে এই মাটি তীর্থ কৃষি কথার প্রাঙ্গণেই। তাই মুখ্যমন্ত্রী হাজির থাকতে পারেন।
তিনি জানিয়েছেন, যেহেতু এবার অনেক আগে থেকেই এই উত্সবের সূচনা পাওয়া গেছে তাই তাঁরাও গোটা প্রাঙ্গণকে সাজিয়ে তোলার কাজ করার জন্য হাতে সময় পেয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারী সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে এ ব্যাপারে বৈঠক হতে চলেছে। উল্লেখ্য, গতবছর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই মাটি উৎসবকে জেলায় জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। গতবছর হুগলীর চুঁচুড়া থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই মাটি উৎসবের সূচনা করেন। দেবু টুডু জানিয়েছেন, ফের তাঁরা এবছর এই মাটি উৎসবে রাজ্য স্তরের কর্মসূচী পেয়েছেন। তাই অনুষ্ঠানকে সফল করে তুলতে তাঁরা সবরকমের প্রস্তুতিই সেরে রাখছেন।
উল্লেখ্য, এই মাটি উৎসবকে ঘিরে প্রতিবারই বিভিন্ন ধরণের স্টল ছাড়াও কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে একাধিক আলোচনারও আয়োজন করা হয়। এবারেও তার কোনো ব্যতিক্রম থাকছে না। তবে এবারে কতদিনের জন্য এই উৎসব হবে তা এখনও ঠিক হয়নি বলে জানা গেছে। দেবু টুডু জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে নবান্ন থেকে এই সূচনা আসার পর তাঁরা গোটা প্রাঙ্গণকে ঘিরে কিভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে সে ব্যাপারে সমস্ত বিভাগীয় দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন। তাই আগামী ৬ জানুয়ারী এব্যাপারে বৈঠকও ডাকা হয়েছে।