ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: তাঁরই নির্বাচনী এলাকা। কিন্তু তাঁকেই দীর্ঘদিন ধরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। উপরন্তু বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে, পার্টি অফিস পোড়ানো হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। এরই পাশাপাশি খণ্ডঘোষ এলাকা দিয়ে প্রতিদিন চলছে অবৈধ বালির কারবার। সবটাই হচ্ছে পুলিশের মদতে। তাই তিনি পুলিশের বিরুদ্ধেই জনস্বার্থে মামলা করতে চলেছেন বলে শুক্রবার বর্ধমান আদালতে এসে জানিয়ে গেলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
তিনি জানিয়েছেন, খণ্ডঘোষ থানার ওসির বিরুদ্ধে তিনি মামলা করতে চলেছেন। উল্লেখ্য, বিজেপির এনআরসি ও সিএএ-র সমর্থনে সভাকে ঘিরে বিজেপি কর্মীদের ওপরে মারধোর এবং ৬জন বিজেপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে বর্ধমান আরামবাগ রোডের কৃষকসেতুর কাছে রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি সমর্থকরা। প্রায় দেড়ঘণ্টা অবরোধ চলার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে অবরোধ তুলে দেয়।
উল্লেখ্য, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার কুমিরকোলা বাজারে এনআরসি ও সিএএ নিয়ে বিজেপির পথসভা ছিল। সেখানে বিষ্ণুপুরের সংসদ সদস্য সৌমিত্র খাঁ ও বর্ধমানের জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী সহ জেলা নেতৃত্বের হাজির থাকার কথা ছিল। বিজেপির অভিযোগ, সভাস্থলে যাওয়ার পথে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের লোকজন লাঠি, রড প্রভৃতি নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। পথে আড়া মোড়ের কাছে দলের যুবনেতা শ্যামল রায় সহ কয়েকজনকে আটকে মারধর করা হয়। তার প্রতিবাদে খণ্ডঘোষ থানায় বিক্ষোভ দেখাতে গেলে পুলিশ দলের কর্মীদের লাঠিপেটা করে। পরে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধৃতদের নাম শুভম নিয়োগী, অজয় বাগ, হরেণ দত্ত, কৃষ্ণকান্ত হালদার, মীর হাসিম আলি ও প্রশান্ত সেন। বর্ধমান শহরের ৫ নম্বর ইছলাবাদে শুভমের বাড়ি। বাকিদের বাড়ি খণ্ডঘোষের নবগ্রাম, তাঁতিপাড়া, নিশ্চিন্তপুর ও পলেমপুরে। ঘটনাস্থল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বেআইনি জমায়েত, পুলিশকে কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া, পুলিশের উপর হামলা, মারাত্মকভাবে জখম করা, খুনের চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এক হোমগার্ড ও এক এনভিএফ কর্মী জখম হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। এদিন বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেপ্তার করার ঘটনায় সৌমিত্রবাবু বর্ধমান আদালতে আসেন। আর তারপরেই তিনি জানিয়ে দেন খণ্ডঘোষ থানার ওসি তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন। তাঁর অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে।