ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,খণ্ডঘোষঃ এবার পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের সরঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দুনীর্তির বিরুদ্ধে সরব হলেন অবিভাবক ও প্রাক্তনীরা। গত তিন বছর ধরে নানান দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেশ কয়েক দফা দাবি নিয়ে প্রধান শিক্ষককে স্মারকলিপি জমা দিলেন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র এবং অভিভাবকরা। এই ঘটনায় রিতিমত আলোড়ন তৈরি হয়েছে অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রী মহলে।
রামনারায়ন দে, রাধাকান্ত দে, হেমন্ত রুইদাস, অভিজিৎ রায়, অরুপ দাস, রাজু রায়, পার্থ মুখারজী সহ অনেকেই এদিন জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের উন্নত পঠন পাঠনের স্বার্থে এবং ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের আর্থিক তছরুপ ও অন্যান্য ত্রুটির বিরুদ্ধে গন সাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি খোদ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, সিরাজুল ইসলাম যেদিন থেকে এই স্কুলের দায়িত্তে রয়েছেন স্কুলের গুনগত মান নামতে শুরু করেছে। শাসক দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্কুল পরিচালনার বিবিধ বিষয়ে অনিয়ম, কারচুপি সহ অর্থ তছরুপের ঘটনা ঘটিয়েছেন।
অভিযোগকারীরা আরও অভিযোগ করেছেন যে সিরাজুল বাবু বিগত দিনে নিজের প্রভাব খাটিয়ে স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষকের পদ অবলুপ্ত করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলে দুজন সংস্কৃত শিক্ষক থাকা সত্তেও আরও একটি সংস্কৃত শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করে নিজের স্ত্রী আফিজা খাতুন কে নিয়ে আসেন। অভিযোগকারীদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের তফসিলি হোস্টেলে ৩৫ জনের থাকার ব্যাবস্থা থাকলেও সেখানে ৭০ জন আবাসিককে দেখিয়ে আর্থিক তছরুপ করেছেন। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীও আছে বলে তারা লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। এছারাও, একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার খাতার মুল্যায়ন অর্থের বিনিময়ে করেছেন বলেও সিরাজুল বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন অভিযোগকারীরা।
অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থাকা সত্তেও সিরাজুল ইসলাম স্কুল চলাকালীন বাদুলিয়ার তৃনমূল পার্টি অফিসে সময় কাটিয়েছেন। আরও অভিযোগ, রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ অমান্য করে দিনের পর দিন সিরাজুল বাবু তাঁর বর্ধমানের ছোট নীলপুর পিরতলার বসতবাড়িতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রিদের কোচিং ক্লাস চালিয়েছেন। আর এসবই সিরাজুল বাবু করেছেন ডি আই অফিসের কিছু কর্মীর সঙ্গে সমঝোতা করে বলেও অভিযোগকারীরা লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন।
যদিও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম এদিন অভিযোগকারীদের আশ্বস্ত করেছেন এই বলে যে তাঁদের অভিযোগের বিষয়ে স্কুলের পরিচালন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করবেন। যদি কিছু ভুল বা ত্রুটি থেকে থাকে অবশ্যই তাঁর সংশোধনের বিষয়ে উদ্যোগী হবেন।