ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রতিটি নেতাকে নির্দিষ্টভাবে জেতার লক্ষ্য ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে আয়োজিত জনসভায় রীতিমত অনেক নেতাকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও নিবিড় করে তোলার পাশাপাশি দুর্নীতি গ্রস্থ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার কথা ঘোষণা করেছিলেন। লোকসভা নির্বাচন মিটে গেলেও দলকে খারাপ ফল বা জনগণের টাকা নিয়ে দুর্নীতির দায়ে কোনো নেতার বিরুদ্ধেই কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি তৃণমূলের উর্ধতন নেতৃত্বকে। আর মঙ্গলবারই কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় দলের নেতাদের কাটমানি খাবার কথা প্রকাশ্যে নিয়ে এসে শাস্তি দেবার কথা ঘোষণা করেন।
কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার আগেই আউশগ্রামের দোখলগঞ্জ এলাকায় তিনটি আদিবাসী পাড়ায় নেতাদের বাংলা আবাস যোজনার কাটমানির টাকা ফেরত দেবার দাবীতে পোষ্টার পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়ালো। পোস্টারে লাল কালি দিয়ে লেখা হয়েছে, সরকারি ঘরের জন্য গরীব মানুষের কাছ থেকে জোর করে নেওয়া টাকা ফেরৎ দিতে হবে (আদেশ)। টাকা ফেরৎ না দিলে বল হরি, হরি বোল বলে সামাজ বাড়ি যেতে হবে। এই পোষ্টারকে ঘিরে মঙ্গলবার সকাল থেকেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা আউশগ্রাম অঞ্চল জুড়ে। খবর পেয়ে আউশগ্রাম থানার পুলিশ গ্রামের রাধারাণি তলা, বাগদিপাড়া ও আদিবাসী পাড়ায় থাকা ওই তিনটি পোষ্টারকে উদ্ধার করে তদন্তে নেমেছে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পোষ্টারের বয়ান থেকে মনে হচ্ছে বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী কোনো মানুষের কাজ এটা। কারণ মৃত্যুর পর এই ধর্মাবলম্বীদের যেখানে শেষকৃত্য হয় তাকে তাঁরা সমাজবাড়ি হিসাবে চিহ্নিত করেন। এরই পাশাপাশি পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এলাকায় একটা অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য ভয় দেখাতেই এই ধরণের পোষ্টার দেওয়া হয়েছে। যদিও এখনও এই ঘটনায় কোনো গ্রেপ্তারের খবর নেই। উল্লেখ্য, এই আউশগ্রাম অঞ্চলেই লোকসভা নির্বাচনের আগে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এবং জনসভা থেকে তাঁর কাছে অভিযোগ জানানোর পর বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা আউশগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, কারা কারা বাংলা আবাস যোজনা করে দেবার নাম করে টাকা খাচ্ছেন তা তিনি জানেন। তাঁদের দল থেকে বার করে দেওয়া হবে। বাস্তবিক কোনো নেতাকেই এই অভিযোগে দল থেকে বার করে দেবার খবর নজরে আসেনি।
কিন্তু মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই নড়েচড়ে বসেছে সব রাজনৈতিক দলই। যদিও আউশগ্রামের এই পোষ্টার নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সাদেক রহমান ওরফে টগর জানিয়েছেন, এটা বিজেপির নোংরামী। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে তাঁরা মোটেও আতংকিত বা ভয়ের মধ্যে নেই। অপরদিকে,বিজেপি নেতা জয়ন্ত কর্মকারের পাল্টা দাবি এইরকম ঘৃণ্য কাজ বিজেপি করে না, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। কারণ লোকসভা ভোটের আগে আউশগ্রাম এর পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল আউশগ্রামে বলে গেছিলেন বেশকিছু নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বাংলা আবাস যোজনা ঘরের টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই মর্মে সতর্ক করে যান নেতা কর্নীদের। ফলে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এরকম ঘটনা ঘটেছে। তাঁরাও চান কারা করেছে তার তদন্ত করে বার করুক পুলিশ।
কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার আগেই আউশগ্রামের দোখলগঞ্জ এলাকায় তিনটি আদিবাসী পাড়ায় নেতাদের বাংলা আবাস যোজনার কাটমানির টাকা ফেরত দেবার দাবীতে পোষ্টার পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়ালো। পোস্টারে লাল কালি দিয়ে লেখা হয়েছে, সরকারি ঘরের জন্য গরীব মানুষের কাছ থেকে জোর করে নেওয়া টাকা ফেরৎ দিতে হবে (আদেশ)। টাকা ফেরৎ না দিলে বল হরি, হরি বোল বলে সামাজ বাড়ি যেতে হবে। এই পোষ্টারকে ঘিরে মঙ্গলবার সকাল থেকেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা আউশগ্রাম অঞ্চল জুড়ে। খবর পেয়ে আউশগ্রাম থানার পুলিশ গ্রামের রাধারাণি তলা, বাগদিপাড়া ও আদিবাসী পাড়ায় থাকা ওই তিনটি পোষ্টারকে উদ্ধার করে তদন্তে নেমেছে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পোষ্টারের বয়ান থেকে মনে হচ্ছে বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী কোনো মানুষের কাজ এটা। কারণ মৃত্যুর পর এই ধর্মাবলম্বীদের যেখানে শেষকৃত্য হয় তাকে তাঁরা সমাজবাড়ি হিসাবে চিহ্নিত করেন। এরই পাশাপাশি পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এলাকায় একটা অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য ভয় দেখাতেই এই ধরণের পোষ্টার দেওয়া হয়েছে। যদিও এখনও এই ঘটনায় কোনো গ্রেপ্তারের খবর নেই। উল্লেখ্য, এই আউশগ্রাম অঞ্চলেই লোকসভা নির্বাচনের আগে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এবং জনসভা থেকে তাঁর কাছে অভিযোগ জানানোর পর বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা আউশগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, কারা কারা বাংলা আবাস যোজনা করে দেবার নাম করে টাকা খাচ্ছেন তা তিনি জানেন। তাঁদের দল থেকে বার করে দেওয়া হবে। বাস্তবিক কোনো নেতাকেই এই অভিযোগে দল থেকে বার করে দেবার খবর নজরে আসেনি।
কিন্তু মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই নড়েচড়ে বসেছে সব রাজনৈতিক দলই। যদিও আউশগ্রামের এই পোষ্টার নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সাদেক রহমান ওরফে টগর জানিয়েছেন, এটা বিজেপির নোংরামী। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে তাঁরা মোটেও আতংকিত বা ভয়ের মধ্যে নেই। অপরদিকে,বিজেপি নেতা জয়ন্ত কর্মকারের পাল্টা দাবি এইরকম ঘৃণ্য কাজ বিজেপি করে না, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। কারণ লোকসভা ভোটের আগে আউশগ্রাম এর পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল আউশগ্রামে বলে গেছিলেন বেশকিছু নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বাংলা আবাস যোজনা ঘরের টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই মর্মে সতর্ক করে যান নেতা কর্নীদের। ফলে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এরকম ঘটনা ঘটেছে। তাঁরাও চান কারা করেছে তার তদন্ত করে বার করুক পুলিশ।