Headlines
Loading...
পৈশাচিক ঘটনা - দুই শিশু কন্যার সঙ্গে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ, গ্রেফতার এক

পৈশাচিক ঘটনা - দুই শিশু কন্যার সঙ্গে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ, গ্রেফতার এক




ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানার নেড়াগোহালিয়া গ্রামে দুই শিশু কন্যার সঙ্গে ধর্ষণ ও তাদের উপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ কে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। এই ঘটনায় দেওয়ানদিঘি থানার পুলিস এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে । ধৃতের নাম ভীম মালিক। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, ধৃতের বাড়ি মন্তেশ্বর থানার বেলেঝুড়ি গ্রামে। 

পুলিস জানিয়েছে, মনসা পুজো উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে শিশু দুটির পরিবারের লোকজন শিশু দুটি কে সাথে নিয়ে দেওয়ানদিঘি থানার নেড়াগোহালিয়া গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আসে। রাতে শিশু দু’টির বাবা-মা ঘরের এক তলায় আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছিলেন। ৩ বছর ৬ মাস ও ৩ বছর ২ মাসের শিশু দু’টি দোতলার ঘরে ঘুমাচ্ছিল। আচমকা রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ তাদের কান্নার আওয়াজ শুনে সন্দেহ হওয়ায় দোতলায় ছুটে যান একটি শিশুর মা। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ দেখে এরপর চিৎকার চেঁচামেচি করে বাড়ির অন্যান্যদের ডাকেন তিনি। দরজা ভাঙ্গার চেষ্টাও করা হয়। শেষে খুন্তি দিয়ে দরজার খিল খুলে ঘরের ভিতরে ঢুকে শিশু দু’টিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। বাড়ির লোকেদের দেখে অভিযুক্ত ভীম দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাকে ধরে ফেলে সবাই।

শিশু দু’টির কাছে কি হয়েছে জানতে চাইলে তারা সব খুলে বলে। এরপর শিশু দু’টিকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার বিষয়ে একটি শিশুর বাবা দেওয়ানদিঘি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। শিশু দু’টির পরনের পোশাক পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছে। পরিবারের অন্যান্যদের বয়ানও নথিভূক্ত করেছে পুলিস। পুলিসের দাবি, প্রাথমিকভাবে শিশু দু’টির উপর যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে । ধৃতেরও মেডিকেল পরীক্ষা করিয়েছে পুলিস।

ধৃতকে রবিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করে ঘটনার পুনির্নমান ও তদন্তের প্রয়োজনে ৭ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানায় পুলিস। ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সোমনাথ দাস ধৃতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে সোমবার ফের বর্ধমানের পকসো আদালতে পেশের নির্দেশ দেন। সোমবার পুলিসি হেফাজতের আবেদনের শুনানি হবে পকসো আদালতে।

 শিশুর অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ বছরের নিচে শিশুকে ধর্ষণ (৩৭৬ এবি) ও পকসো অ্যাক্টের ৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিজুক্তের ৩৭৬ এবি ধারায় আমৃত্যু কারাবাস এমনকি প্রাণদণ্ডেরও বিধান রয়েছে আইনে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});