Headlines
Loading...
চারটি গ্রামের যোগাযোগ রক্ষাকারী একমাত্র কাঠের সেতু ভগ্নপ্রায়, উদাসীন প্রশাসন

চারটি গ্রামের যোগাযোগ রক্ষাকারী একমাত্র কাঠের সেতু ভগ্নপ্রায়, উদাসীন প্রশাসন


কল্যাণ অধিকারী, হাওড়াঃ হাওড়া মানিকপীড় এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে কানা দামোদর খাল। ওই খালের উপর দারগাচক কাঠের সেতু। চারটি গ্রামের মানুষের ভরসা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী দের যাতায়াত করতে হয় ওই কাঠের সেতু দিয়ে। বেশ কয়েক মাস যাবত ওই কাঠের সেতু জীর্ণ অবস্থায়। যে কোন সময় ভেঙে পড়তে পারে। বাধ্য হয়ে সেতু দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে তিন-চারটে গ্রামের বাসিন্দারা। অনেকটা ঘুরে অন্য সেতু পার করে যাতায়াত করতে সময় লাগছে বিস্তর। অনেকে আবার দ্রুত যেতে নড়বড়ে সেতু দিয়ে যাতায়াত করছে।

সবুজে ঘেরা গ্রাম্য এলাকা দারগাচক। এখানকার মানুষের কাজকর্ম অনেকটাই কৃষি নির্ভর। এলাকার মাঝ বরাবর বয়ে গিয়েছে কানা দামোদর খাল। গরমে সেচের জন্য জল দেওয়া হয়। ওই খালের পাশে পূর্ব ইসলামপুর, নয়াচক, দারগারচক ও দক্ষিণবাঁধ গ্রাম। একটি প্রাইমারী স্কুল এবং এলাকার মানুষের সতকারের জন্য রয়েছে মহা শ্মশান। ওই চার গ্রামের মানুষের দ্রুত খাল পারপারের জন্য বেশ কয়েক বছর আগে কানা খালের উপর বানানো হয় শাল বল্লামের কাঠের সেতু। এলাকার মানুষজনের যাতায়াতে সুবিধাও হয় বিস্তর।

প্রায় কুড়ি ফুট দীর্ঘ কাঠের সেতুটির গুরুত্ব যে অনেক তা এলাকাবাসীর কথাতেই পরিস্কার। নাট্যশালা ও অভিনয় নিয়ে কাজ করা অনির্বাণ রানা'র কথায়, এলাকা দিয়ে প্রায় সময় যাতায়াত করি। কাঠের সেতুটি ভেঙেচুরে রয়েছে। তার উপর দিয়ে গ্রামের মানুষজন যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে। তবুও কেউ কেউ সময় বাঁচাতে ওর উপর দিয়ে যায়। একটু অসতর্ক হলেই খালে পরে যেতে পারে। দ্রুত সারাই হলে এলাকার মানুষের অনেক সুবিধা হবে। এলাকার মৌলিসা, প্রবীর, জয়ন্ত, সমীর সকলের কথায়, ভাঙ্গা সেতুর জন্য স্কুলের বাচ্চা দের অনেক ঘুরে ঘুরে যেতে হয়। সেতুটি সারাই হলে সকলের সুবিধা হবে। জমির ফসল ভ্যানে করে বড় রাস্তায় নিয়ে যেতেও হবে সুবিধা। 

রানিহাটি-আমতা সড়কের উপর মানিকপীড় বাসস্ট্যান্ড। ওখান থেকে খালের পাড় ধরে উত্তর দিকে মিনিট দশেক গেলেই নয়াচক গ্রাম। তারপর দারগারচক গ্রাম। ওখানেই খালের উপর ভাঙ্গা জীর্ণ কাঠের সেতুটির অবস্থান। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী দের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে শাল বল্লা দিয়ে নির্মিত এই সেতুটির উপর গুল পেরেক উঠে গিয়েছে। রেলিং এর মাত্র একাংশ অবশিষ্ট রয়েছে। যে কোন সময় ভেঙে পড়তে পারে। চারটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের যোগাযোগের সুবিধার জন্য ভেঙে যাওয়া সেতুর সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ প্রশাসন দ্রুত করুক চাইছে এলাকাবাসী। এই বিষয় নিয়ে ইসলামপুর অঞ্চল প্রধান গৌতম বেরা কে জিজ্ঞাসা করা হলে জানান, 'আমি নিজে গিয়ে ব্যাপারটা দেখে আসব। কিভাবে সংস্কারের কাজ শুরু করা যায় তাও খুব শীঘ্রই আলোচনা করা হবে।' 
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});