Headlines
Loading...
বর্ধমানে মাটি উৎসব নিয়ে বৈঠক

বর্ধমানে মাটি উৎসব নিয়ে বৈঠক



ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ জানুয়ারী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই বর্ধমানের এগ্রিকালচার ফার্মের মাটি তীর্থ কৃষি কথা প্রাঙ্গণে মাটি উৎসবে আসতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ কিংবা দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতেই এবছর মাটি উৎসব হবে ধরে নিয়েই সবরকমের প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। আর সেই প্রস্তুতির কাজ খতিয়ে দেখতেই মঙ্গলবার মাটি তীর্থ প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা এবং প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক সারলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশীষ বন্দোপাধ্যায় এবং মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। 

উল্লেখ্য, মাটি তীর্থ কৃষি কথা প্রাঙ্গণ তৈরী হবার পর তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন কৃষি বিপণন দপ্তর। কিন্তু চলতি ডিসেম্বর মাস থেকেই এই প্রাঙ্গণের রক্ষণবেক্ষণের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে জেলা পরিষদের হাতে। স্বাভাবিকভাবেই এবছর মাটি উৎসব প্রাঙ্গণে মুখ্যমন্ত্রী হাজির হলে সেখানে যাতে কোনোরকম ত্রুটি না থাকে সে ব্যাপারে কাজ সেরে রাখতে বাড়তি চাপ সামলাতে হবে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে। এদিন কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবছর মাটি উত্সবের দিন মুখ্যমন্ত্রী এখনও জানাননি। কিন্তু তিনি জানালেই যাতে তিনদিনের মধ্যে কাজ শুরু করা যায় সেজন্য তাঁরা প্রস্তুত থাকছেন।

কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, মাটি তীর্থ কৃষি কথার মাধ্যমে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নকল্পে সারাবছর ধরে নানাবিধ কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে কি কি করা যায় এবং কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে সারাবছরই এই প্রাঙ্গণকে কর্মচঞ্চল রাখা যায় সে ব্যাপারে একজন নোডাল অফিসার তৈরী করা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রবীর চট্টোপাধ্যায়কে এই নোডাল অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব সামলাবেন যুগ্ম সচীব হৃষিকেশ মুদি। এদিনের বৈঠকে আসন্ন মাটি উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি মেলার দিন বাড়ানোর প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মেলার মাঠে অনুষ্ঠানের সময় ছাড়াও সারা বছর কিভাবে এই এলাকায় আরও বেশী করে সাধারণ মানুষ থেকে কৃষকদের কাজে লাগে, কিভাবে আরও সুদুরপ্রসারি করা যায় সে বিষয়েও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের এই এলাকায় স্থায়ী ব্যবস্থা করার জন্যও বলা হয়েছে। যাতে পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে সমম্বয় করে কাজ করা যায়। উল্লেখ্য, গতবছর থেকেই এই উৎসবের দিনকে আরও বাড়ানোর দাবী উঠতে শুরু করে। তাই এবার সে বিষয় নিয়েও একপ্রস্থ আলোচনা করা হয় এদিন। উল্লেখ্য, এবছর এই মাটি উৎসব থেকে মুখ্যমন্ত্রী ৩৬০জনকে কৃষক রত্ন পুরষ্কার দেবেন। ইতিমধ্যেই জেলাগুলি থেকে কৃষকদের নাম পাঠানো হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});