ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, আরামবাগঃ কিছুদিন মাত্র হয়েছে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। আর তারপর থেকেই হুগলীর পুরশুড়া থানার শ্যামপুর এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে উঠছিল। মঙ্গলবার রাতে এই এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। এমনকি গুলিও চলেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন সেখ মঞ্জুর আলী নামে এক ব্যাক্তি। গুরুতর জখম সেখ মঞ্জুর আলী কে আরামবাগ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। মূলত এলাকা দখল কে কেন্দ্র করেই বোমাবাজি ও গুলি চলে বলে অভিযোগ। এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ ও রাফ।
জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ মঞ্জুর দিঘরুই ঘাটে একটি হারমোনিয়াম দোকানে কাজ করেন। কাজ শেষে পুরশুড়ার যুব নেতা সেখ রসিদ ওরফে গোপালের মোটর বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাদের লক্ষ্য করে এলাকার তৃণমূল নেতা সেখ আবু হুরাই ও তার দলবল তাদের তাড়া করে। পর পর দু বার গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তাতেই গুলি বিদ্ধ হন তিনি। এর পরেই বোমা বাজি শুরু হয়। গুলি চালানো কাণ্ডে পুড়শুড়া থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শেখ মঞ্জুর আলির স্ত্রী।
এই ঘটনায় পুলিশ দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম শেখ আবু হুরাই ও সেখ মমতাজ। ধৃতদের বুধবার আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও সেখ আবু হুরাই এই ঘটনার কথা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন।এই ঘটনায় তাদের চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা পুড়শুড়ার তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক পারভেজ রহমান, হুগলি জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি গোপাল রায়, প্রাক্তন পুড়শুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিস রঞ্জন মাঝি, পুড়শুড়া তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জয়দেব জানা সহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এদিন বিক্ষোভ দেখাল পুড়শুড়া যুব তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে এই দাবিতেই চলে বিক্ষোভ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায়় পুলিশ ও র্যাফ মোতায়েন রয়েছে। চলছে পুলিশি টহল।